শাপলা চত্বরের ঘটনায় তৌহিদী জনতার পরাজয়ের কিছু নেই: আল্লামা কাসেমী

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে শাপলা চত্বরের ঘটনায় এদেশের আলেম সমাজ ও তৌহিদী জনতার পরাজয়ের কিছু নেই। বরং মুসলমানরা বিশ্বাস করে, শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের উত্তম প্রতিদান করুণাময় আল্লাহ অবশ্যই পরকালে দান করবেন। আর ইহকালেও তাঁদের রক্তদান বৃথা যায়নি।

আজ (৫ মে) মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আল্লামা কাসেমী একথা বলেন।

আল্লামা কাসেমী বলেন,  হেফাজত নেতাকর্মীদের এই আত্মত্যাগের ফলে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রসমূহ এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নারী স্বাধীনতা, আধুনিকতা ও বাক স্বাধীনতার মোড়কে তারা আর মুসলমানদেরকে ধোঁকা দিতে পারছে না। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং বিভিন্ন ধর্মমতের মানুষের সামাজিক সহাবস্থান এবং ইসলামী চেতনার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, তার মুখোশ হেফাজতের আন্দোলনের ফলে খসে পড়েছে। তৌহিদী জনতা ঈমান-আক্বীদার সুরক্ষায় এখন অনেক বেশী সচেতন। ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদি অপশক্তি এই বাংলার জমিনে কখনো ঘাঁটি গেড়ে বসতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ।

আরো পড়ুন:  ঈমানী জাগরণ: প্রেরণা এবং কষ্টের অধ্যায়

আরো পড়ুন: শাপলা চত্বরে এক বিষণ্ন বিকেল : হয়তো এটিই আমার শেষ মুনাজাত

বিবৃতিতে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী দেশবাসীর প্রতি শাপলা চত্বরের শহীদানদের রূহের মাগফিরাত কামনা, জান্নাতের উঁচু মাক্বাম লাভ এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার-পরিজনের দুঃখ নিবারণ ও বরকতের জন্য বিশেষ দোয়ার আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন: বালাকোট থেকে মতিঝিল: মিল-অমিল

পূর্ববর্তি সংবাদহাওরের ৯০ ভাগ ধান কাটা সম্পন্ন: কৃষিমন্ত্রী
পরবর্তি সংবাদকারখানা চালু হলেও মসজিদ উন্মুক্ত না হওয়ায় দেশবাসী মর্মাহত: বিশিষ্ট ২০০ আলেমের বিবৃতি