এখনো মুক্তি পাননি নির্যাতনের শিকার কচুয়ার সেই হাফেজ ওমর ফারুক

প্রতীকী ছবি।

জুলফিকার জাহিদ।।

চাঁদপুরের কচুয়ার সাতবাড়িয়ায় নির্যাতনের শিকার মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ ওমর ফারুক এখনো জেল থেকে মুক্তি পাননি। তার বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের (বলাৎকার) অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে নির্যাতনকারীরা ক্ষমা চেয়ে তার জামিনের ব্যাপারে সবধরণের সহযোগীতার কথা বলেছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত হাফেজে কুরআন শিক্ষক ওমর ফারুক জেল থেকে ছাড়া পাননি।

হাফেজ ওমর ফারুকের বিষয়ে জানতে রহিমানগর তালিমুল কুরআন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা হোসাইন আহমাদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ইসলাম টাইমসকে এতথ্য জানান।

তিনি বলেন, সাংবাদিক, আইনজীবী, উভয় পক্ষের লোকজনের সামনে মাদারাসার সিসি ক্যামেরা দেখে হাফেজ ওমর ফারুক নির্দোষ প্রমাণিত হন; কিন্তু অধিকতর নিশ্চিত হবার জন্য অভিযোগ তোলা ছাত্র এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের ডিএনএ টেস্ট করাতে দেওয়া হয়েছে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে। ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট গত বৃহস্পতিবারে আসার কথা থাকলেও অজানা কারনে রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে। এদিকে জেল খানায় কষ্ট করতে হচ্ছে নিদোর্ষ সেই হাফেজে কুরআনকে।

আরো পড়ুন: ফাঁসানো হয়েছিল মাদরাসা শিক্ষককে! শিশু নির্যাতনের অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে মামলা

মাওলানা হোসাইন আহমাদ জানান, হাফেজ ওমর ফারুকের বৃদ্ধ বাবা ছেলের জন্য কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন। তবে সরল এই মানুষটাকে শান্তনা দেওয়া ছাড়া তাদের আর কিছু করার নেই বলে জানান তিনি।

আরো পড়ুন: পূর্বাচলে নামাজের সময় মাদরাসার উস্তাদ, ছাত্র ও মুসল্লীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছর ডিসেম্বরের ২৮ তারিখে হাফেজ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ তোলে একই মাদরাসার শিক্ষার্থী আবু বকর (১৩)। তার অভিযোগকে ভিত্তি করে কোন ধরণের যাচাই-বাছাই ছাড়া মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয় এবং সেই শিক্ষকের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। এ হামলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনও অংশ নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আরো পড়ুন: কচুয়ার ঘটনা: চাচার প্ররোচনায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে ছেলেটি! ক্ষমা চাইলেন বাবা

জানা যায়, কওমী মাদরাসা বিদ্বেষী চাচার প্ররোচনায় পড়াশোনায় অমনযোগী সেই শিক্ষার্থী উস্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। মূলত এই অভিযোগকে ভিত্তি করে এলাকা থেকে কওমী মাদরাসা উৎখাত করতে চেয়েছিল হামলাকারীরা। পরবর্তীতে মাদরাসার সিসি ক্যামেরা দেখে নিদোর্ষ প্রমাণিত হন সেই শিক্ষক। তাৎক্ষণিকভাবে সেই শিক্ষার্থীর বাবা ক্ষমা চেয়ে শিক্ষক ওমর ফারুকের জামিনের ব্যাপারে সবধরণের সহযোগীতার কথা বলেছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত শিক্ষক ওমর ফারুক জেল থেকে ছাড়া পাননি।

আরো পড়ুন: কচুয়ার রহিমা নগর: দেখে এলাম নির্যাতনের শিকার শিক্ষকের বাবার অশ্রু

-এনটি

পূর্ববর্তি সংবাদশ্রীপুরে মসজিদের ইমামকে জুতা পেটা করলো ওয়ার্ড আ.লীগ নেতা, মুসল্লিদের প্রতিবাদ
পরবর্তি সংবাদভারতে টিকা নেয়ার পর ২ দিনে সাড়ে ৪’শ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া