আসামে মাদরাসা বন্ধের আইন পাশ, গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বললেন বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দ

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ভারতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন হিন্দুত্ববাদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক মুসলিম ইতিহাস ও ঐতিহ্য মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে এবার দেশটির আসাম রাজ্যে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে মাদরাসা শিক্ষা। এই লক্ষ্যে গতকাল (৩০ ডিসেম্বর) একটি আইন পাশ করেছে রাজ্য সরকার। আগামী এপ্রিলের মধ্যে ৭০০ মাদরাসা বন্ধ করে দেয়া হবে।

আসাম সরকারের এমন আইনের তীব্র সমালোচনা করেছেন স্থানীয় মুসলিম নেতৃবৃন্দ। তারা বলছেন, মুসলমানদের বিরুদ্ধে এটি রাজ্য সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এই পদক্ষেপ ‘মুসলমানের ওপর আঘাত’ আখ্যা দিয়ে আইনটির বিরোধিতা করেছে বিরোধী দলও।

এ আইনকে ‘মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা ওয়াজেদ আলি চৌধুরি।

বিজেপির জেষ্ঠ্য নেতা ও আসাম রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মাদরাসা বন্ধের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, মাদরাসাগুলো থেকে মসজিদের ইমাম ছাড়া আর কিছু বের হচ্ছে না। অথচ মুসলমানদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন গবেষক, চিকিৎসক, শিক্ষক ও আমলা। এই মাদরাসাগুলোকে আমরা স্কুলে রূপান্তরিত করবো, যেন মুসলমানরাও এগিয়ে যেতে পারে।

শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আরো বলেন, মাদরাসাগুলোর পেছনে সরকারের বছরে ২০০ কোটি রুপি ব্যয় হয়, অথচ পার্থিব উন্নতির জন্য কাউকে তৈরি করতে পারে না। তাই স্কুল তৈরি করে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নতুন করে সেখানে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি করা হবে। অন্যদিকে, ভারতীয় সংস্কৃতি, সভ্যতা ও জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সংস্কৃত স্কুলগুলোকে শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্রে রূপান্তর করা হবে।

-এনটি

পূর্ববর্তি সংবাদজয়পুরহাটে মুক্তিপণের টাকাসহ র‌্যাবের হাতে আটক অপহরণকারী চক্রের প্রধান
পরবর্তি সংবাদটানা তিনদিন বন্ধ ব্যাংকে লেনদেন