ভাস্কর্য ইস্যু: ঢাকায় তাওহীদী জনতার মিছিলে লাঠিচার্জ, চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের ‘উস্কানি’

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: দেশের ইতিহাসে কোথাও কোনো আলেমের দ্বীনী মাহফিলে অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকারের পুলিশ ও দলীয় রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের এমন মরিয়া হওয়ার ঘটনা বিরল।

গতকাল বৃহস্পতিবার হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হকের চট্টগ্রামের একটি দ্বীনী মাহফিলে অংশগ্রহণ ঠেকাতে অত্যন্ত উস্কানিমূলক ভাষায় ‘যে কোনো মূল্যে চট্টগ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হবে’— এমন হুংকার ছেড়েছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের নির্দেশে সেই অবস্থান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয় চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।গতকাল দুপুরে নেওয়া অবস্থান থেকে রাতেই পিছু হটতে হয় সরকারি দলের এই রাজনৈতিক সংগঠনকে।

আরো পড়ুন: পিছু হটল চট্টগ্রাম ছাত্রলীগ, মাওলানা মামুনুল হককে মাহফিলে বাধা দেবে না

এদিকে আজ শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থান নিয়েছিলেন নগর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েক ডজন নেতাকর্মী। সেখানে তাদেরকে হেফাজতে ইসলাম ও আলেমদের নাম তুলে উস্কানিমূলক শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

সেখানে তারা ‘রাজাকার যেখানে প্রতিরোধ সেখানে, মামুনুল হক যেখানে প্রতিরোধ সেখানে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘বীর চট্টলার মাটিতে মামুনুল হকের ঠাঁই নাই’, ‘তুমি কে আমি কে বাঙালি বাঙালি’, ‘আমাদের ধমনীতে শহীদের রক্ত’, ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়েছেন।

নগর যুবলীগ আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেছেন, “চট্টগ্রামে যেখানেই মামুনুল হককে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করা হবে। জাতির জনককে নিয়ে যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে মামুনুল হক তারপর কোনোভাবে তাকে চট্টগ্রামে আসতে দেওয়া হবে না।”

জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণকে ইসলাম বিরোধী বলায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন সম্প্রতি মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে এবং তাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে।

শুক্রবার দুপুর দুইটায় হাটহাজারী পাবর্তী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিনদিনের তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের সমাপনী দিনে তিনজন প্রধান বক্তার একজন মাওলানা মামুনুল হক।

এদিকে মাওলানা মামুনুল হকের মাহফিল নিয়ে ছাত্রলীগের উস্কানিমূলক আচরণের প্রতিবাদে তৌহিদী জনতা আজ শুক্রবার জাতীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর বিক্ষোভে তারা প্রতিবাদী স্লোগান দেন। কিন্তু শান্তিপূর্ণ মিছিলে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ শান্তিনগরের কাছে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মিছিল থেকে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে রমনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তি সংবাদমিসওয়াক: প্রিয় নবীর প্রিয় সুন্নত
পরবর্তি সংবাদআর্মেনিয়ার পরাজয়ে হতাশ ফ্রান্স, ‘যুদ্ধবিরতি উচিত হয়নি’-বললেন ম্যাক্রো