ভাস্কর্য নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট: ‘ওরা কলিজায় হাত দিয়েছে, এবার কোনো ছাড় দেবো না’

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের বিরোধিতা করায় চটেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট। বিষয়টিকে বঙ্গবন্ধুর অবমাননার সঙ্গে মিলিয়ে ‘বিরূপ মন্তব্যকারীদের’ গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে দলটি।

  শনিবার (২১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক ডজন নেতাকর্মী নিয়ে করা এক মানববন্ধনে এই দাবি জানায় জোটের নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে ধীরে ধীরে দাবি আরও বাড়বে। বর্তমানে বিভিন্ন ম্যুরাল, শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলক, রাষ্ট্র ভাষা, জাতীয় সংগীত—তাদের কাছে অসহ্যের ব্যাপার। অথচ তারা এটা ভাবে না পাকিস্তান আমলের চেয়ে আমরা বহুগুণে ভালো ও শান্তিতে আছি। ধর্মকে বিক্রি করে এমন অনেকেই ফেসবুকে ও মাঠ-ময়দানে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে আসছে। এবার তারা কলিজায় হাত দিয়েছে। আমরা এবার কোনও ছাড় দেবো না।’

বক্তারা বলেন, আমরা আজকের মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে আপনাদের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রকে জানিয়ে দিতে চাই, বাংলার মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি মুছে ফেলা যাবে না। আমরা স্বাধীনতার পক্ষের সর্বস্তরের জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি যে, অনতিবিলম্বে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের সবাইকে চলমান আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। যেসব দুস্কৃতকারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্বরূপ ম্যুরাল নির্মাণের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ সময় বক্তারা দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা আবারও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ৭২ এর সংবিধান অনুযায়ী ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানাই। ধর্মের পবিত্রতা রক্ষার জন্যই বঙ্গবন্ধু এবং তার সহযোগীরা সাংবিধানিকভাবে ধর্মের নামে হত্যা, সন্ত্রাস ও হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি বন্ধ করেছিলেন। আমরা মনে করি, ম্যুরালের বিরুদ্ধে অবস্থান,  বাংলাদেশ ও বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিরুদ্ধেই অবস্থান।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জোটের প্রধান উপদেষ্টা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম), সভাপতি মনিরুল হক, সহ-সভাপতি মো. শফিকুর রহমান (শহীদ), মহাসচিব সালাউদ্দিন আহম্মেদ (সালু) প্রমুখ।

এস এন

পূর্ববর্তি সংবাদআপত্তি সত্ত্বেও পশ্চিমতীরে পম্পেওর সফর ও বিতর্কিত মন্তব্যে ফিলিস্তিনে উত্তেজনা
পরবর্তি সংবাদকয়েক দশকের মধ্যে বিশ্বের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ও মৃত্যু ঝুঁকিতে ইয়েমেন: জাতিসংঘ