বিরোধী নেতাদের কটাক্ষ করতেন না, সম্মান দিয়ে কথা বলতেন বঙ্গবন্ধু: রাষ্ট্রপতি

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু কখনও বিরোধী দলের নেতাদের কটাক্ষ করে কিছু বলতেন না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতাদর্শের যত অমিলই থাকুক, বঙ্গবন্ধু কখনো বিরোধী দলের নেতাদের কটাক্ষ করে কিছু বলতেন না বরং তাদের যথাযথ সম্মান দিয়ে কথা বলতেন। ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার’ তার জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সোমবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনে স্মারক বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি এ সব কথা বলেন।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সন্ধ্যায় অধিবেশন শুরু হয়। রাষ্ট্রপতি সংসদ কক্ষে প্রবেশের সময় বিউগলে বাজানো হয় ফ্যানফেয়ার।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে পরমত সহিষ্ণুতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশকে জানতে হলে, বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে।  এই দুই সত্তাকে আলাদাভাবে দেখার চেষ্টা যারা করেছেন, তারা ব্যর্থ হয়েছেন। আজকের বাস্তবতা এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ।’

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উজ্জীবিত হতে পারে, সেজন্য সকলকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়। বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সত্তা, একটি ইতিহাস।

তিনি বলেন, ‘জীবিত বঙ্গবন্ধুর মতই অন্তরালের বঙ্গবন্ধু শক্তিশালী। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি থাকবে, এদেশের জনগণ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু সকলের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।’

রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের ‘মুক্তির আলোকবর্তিকা’ হয়ে বঙ্গবন্ধু বিশ্বকে করেছেন ‘আলোকময়’। তাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বেড়ে উঠতে পারে, সে লক্ষ্যে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।’

-আরএম

পূর্ববর্তি সংবাদদুর্নীতির দায়ে বরিশালের সাবেক সিটি মেয়রের ৭ বছরের কারাদণ্ড
পরবর্তি সংবাদ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ আইন: দেশের সুশৃঙ্খল পরিবার ব্যবস্থাকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার পায়তারা