ফ্রান্সের অভিশাপ: নবীজির অবমাননা সইবে না উম্মাহ

জুলফিকার জাহিদ।।

ফ্যান্সের বিতর্কিত ম্যাগাজিন শার্লি হেবদোতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ব্যঙ্গ করে কার্টুন প্রকাশ করা হয়। ব্যঙ্গচিত্রটি দেশটির একজন শিক্ষক ক্লাসে প্রদর্শন করানোর পর শিক্ষককে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার জেরে দেশটির কর্তৃপক্ষ বাকস্বাধীনতার নামে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কার্টুনটি দেয়ালে দেয়ালে দেখানো শুরু করে।

ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে পরিচিত থাকলেও বরাবরই দেশটির বিভিন্ন কান্ড মুসলিমদের হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করে। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে তাদের এই ধৃষ্টতা যেন ছাড়িয়ে গেছে পূর্বের সব মুসলিম বিদ্বেষ।

এছাড়াও দেশটিতে মুসলিমদের ওপর দমন-নিপীড়নের ঘটনা শোনা গেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে। ফলে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে বিশ্ব মুসলিম। বাংলাদেশেও ইসলাম প্রিয় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা জানিয়েছেন এর প্রতিবাদ।

অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আলী হাসান তৈয়্যব লিখেছেন, জেনে নিন ফ্রান্সে কী হচ্ছে, গেল ৩০ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের ম্যাগাজিন শার্লি এবদো’র সবশেষ সংস্করণের প্রচ্ছদে প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে ব্যঙ্গ করে আঁকা ১২টি কার্টুন ছাপা হয়। এর পক্ষকাল পরে ফ্রান্সের একজন স্কুল শিক্ষক ক্লাসে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মহানবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ কার্টুন প্রদর্শন করেন। সেখানকার মুসলিম কমিউনিটি এর বিরোধিতা করে। একজন ইমাম মসজিদ থেকে এর বিরুদ্ধে অনলাইনে প্রতিবাদের ডাক দেন।

 

এর মধ্যে গত শুক্রবার ওই শিক্ষক চেচেন এক যুবকের ছুরিকাঘাতে হত্যা হয়। তাকে সেখানেই গুলি করে হত্যা করা হয়। তারপর থেকে ফ্রান্সের জুড়ে চলছে মুসলিম কমিউনিটির বিরুদ্ধে সরকার ও বিভিন্ন উগ্র জাতীয়তাবাদীদের হামলা ও কঠোর সব পদক্ষেপ। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওই ইমামের মসজিদ বন্ধ করে দেন, বিভিন্ন ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়, চারদিকে ধরপাকড় শুরু হয় এবং প্রকাশ্য জনসভায় তিনি মহানবীর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ জারি রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এর আগে এ মাসের শুরুতে তিনি ইসলাম ধর্ম সংকটে বলে পশ্চিমা বিশ্বে বিতর্ক তৈরি করেন।

আলী হাসান তৈয়্যব বলেছেন, ফরাসি পণ্য বর্জন, ফরাসি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ,ফরাসি দূতাবাস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি, ইসলামী দলগুলোর আন্দোলনসহ আসুন আমরাও আওয়াজ তুলি।

অনুবাদক ও লেখক আবদুল্লাহ আল ফারুক লিখেছেন, প্রিয় ইসলামি শীর্ষ নেতৃবৃন্দ,আপনারা দয়া করে আগামী শুক্রবারের অপেক্ষায় থাকবেন না। অনতিবিলম্বে সবগুলো ইসলামি দল এক প্লাটফর্মে এসে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করুন। বিশ্বের সকল মুসলিম দেশ নিজ দেশে অবস্থিত ফরাসি এম্বেসি ঘেরাও করুক। সকল মুসলিম দেশ ফরাসি পণ্য বর্জন করুক। ওয়াইসি জরুরি বৈঠক ঘোষণা করে নিন্দা প্রস্তাব দিক।


মুসলিম দেশগুলো একযোগে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিন্দা জানাক। প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করতে অবশ্যই ফ্রান্সকে বাধ্য করতে হবে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাত্র কিছুদিন আগে, চলতি মাসের প্রারম্ভে সব শিষ্টাচার ভেঙে একটি প্রধান ধর্মের বিরুদ্ধে যে ঘৃণাবাক্য উচ্চারণ করেছেন তা এই জামানায় অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত। তিনি ‘ইসলাম’কে সমগ্র ‘পৃথিবী’র জন্য ‘সংকট’ হিসেবে অভহিত করেছেন উল্লেখ করে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আরজু আহমাদ লিখেছেন, আরও কয়েকবছর আগে ২০১৫ সালের দিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইসলামকে পরিমার্জনের আলাপ তুলে ‘মৌলবাদী ইসলাম’ নাম দিয়ে মূলত মূলধারার ইসলামের বিরুদ্ধেই প্রকাশ্য ‘যুদ্ধ ঘোষণা’র কথা বলেছিলেন।

ফ্রান্সে পর্দার উপর আঘাত হানার রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টা সেই ১৯৮১ সাল থেকেই চলছে। কিন্তু এখানেই ফ্রান্সের ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের ইতিহাস শুরু নয়। বরং মুসলমানদের দ্বিতীয় সারির মানুষ হিসেবে (আদতে শত্রু হিসেবে) ট্রিট করার ইতিহাস মুসলিম বিশ্বে ফরাসি উপনিবেশ স্থাপনের কাল থেকেই খোলাসা।

সেকালের ফ্রান্সের তামাম ইতিহাস জুড়ে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও বর্বরতা ছেয়ে আছে।

তারা জোরপূর্বক ৯৯ শতাংশ মুসলমানের দেশ আলজেরিয়াকে ১৩২ বছর দখল করে রেখেছিল। এই সময়ে জামা কাংশোয়াসহ প্রধান প্রধান প্রায় সবগুলো মসজিদগুলোকে গীর্জায় পরিণত করেছে।

মুসলমানদের ফসলি বাগানগুলোকে ফলের মওসুমে তারা আগুনে পুড়িয়ে দিত। ১৫ লাখেরও অধিক লোককে তারা শহীদ করেছে। মাদ্রাসাগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছিল। কোরআন শিক্ষা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

শুধু আলজেরিয়া নয়, মরক্কো, তিউনিসিয়া, সুদান, মালি, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, লেবানন, ইয়ামানে যেই মুসলিম ভূমিতেই ফ্রান্স প্রবেশ করেছে সেখানেই সে মসজিদ, মাদ্রাসা আর ইসলামের উপর আঘাত করেছে।

ফ্রান্সে কেবল গত এক বছরেই ১,০৪৩ টি ইসলামোফোবিক ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ২২ টিরও অধিক মসজিদে হামলার ঘটনাও আছে।

এবার ফ্রান্স রাষ্ট্রীয় বন্দোবস্তে আল্লাহ্‌র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছে। যদিও আগে ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে হয়েছে তবে তাতেও অবশ্য রাষ্ট্রীয় মদদ ছিল।

এই হচ্ছে ইউরোপের ধর্মনিরপেক্ষতা! কই ইসলাম ছাড়া আর কাউকে নিয়ে তো এত সমস্যা কখনো দেখি না! কখনো যীশুকে নিয়ে এত ব্যাঙ্গ আয়োজন দেখেছেন? কখনো শুনেছেন, বাইবেল, তোরাহ, গীতা পুড়ানো হচ্ছে? কোরআন নিয়ে, রাসুল নিয়ে হরদম হয়।

এরপরও দুনিয়ার মুসলমান শাসকেরা একটা বাক্য উচ্চারণের সাহস করছে না! আহা! আমরা মুসলমানের সন্তানেরাও এসব নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিকার বোধ করি না!

আমাদের কিছুই করার ক্ষমতা হয়ত নাই- কিন্তু অন্তরের দহন তো কম হবার কথা নয়! সেই দহন কি আদতেই আছে? কতখানি? রাসুলের প্রতি ভালোবাসা ঈমানের শর্ত। নিজের ঈমানকে পরীক্ষা করে নিতে আর কোনও প্যারামিটার দরকার নাই!

আফসোস, আমরা তো কেবলই দুনিয়াকেই বেছে নিয়েছি! আহ! কা’বার রব্বের শপথ, ইতিহাসে মুসলমান আগে কখনো এত অসহায় ছিল না। আল্লাহ্‌ আমাদের অক্ষমতাকে ক্ষমা করুন।

ও আমাদের প্রতিপালক! এই অক্ষম নির্লজ্জ গোলামের তো আপনার কাছে দোআ করা ও ক্ষমা চাওয়া ব্যতিত আর কিছুই করার নাই!

হে মহামহিম, অসীম ক্ষমতার অধিকারী, আমরা কেবলই আপনার মুখাপেক্ষী। আপনার প্রেরিত পুরুষ, সর্বশ্রেষ্ঠ যে নবী, তাঁর ইজ্জত আপনিই রক্ষা করুন।

ইয়া রাব্বাল কা’বা! এই উদ্ধত ফরাসি জাতি ও তার নিকৃষ্ট শাসকদের হিদায়াত ও বুঝ দিন। কিন্তু যদি তারা প্রকৃতই বক্র আর মোহরবিশিষ্ট অন্তরের অধিকারী হয় তবে তাদের ধ্বংস করুন। তাদের উপর আসমান ও জমিন এক করে দিন।

তাদের পর্বতসমূহকে উপড়ে ফেলুন। ভূমির ভারসাম্যতা বিনষ্ট হোক। সমুদ্র তাদের উপর আছড়ে পড়ুক। বাতাস ও আগুন তাদের গ্রাস করুক। আকাশ ও মাটি থেকে পানিকে সরিয়ে দিন। তাদের উপর দূর্ভিক্ষ আরোপ করুন।

আদ ও ছামুদ জাতির মত তাদের ধ্বংস করুন। সাবায়ীদের মত তাদের চাষযোগ্য ভূমিসমূহকে অনাবাদী ও রুক্ষ করে দিন। তাদের ফলসমূহকে তিক্ত করে দিন। আমালেকা জাতির মত তাদেরকে পরাজিত করুন। বনী ইসরাইলের মত তাদেরকে রাষ্ট্রহীন করে দিন।

ইয়া রাব্বুল আলামিন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন। দয়া করুন। আমাদের ঐক্য ও মর্যাদাকে ফিরিয়ে দিন।

অবিরত দুরুদ ও সালাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ সে নবীর উপর!

আমাদের অনাগত বংশধরেরা তাঁর জন্য কুরবান হোক। আমাদের পিতা ও মাতা তাঁর সম্মানে কুরবান হোক। ফিদাকা আবি ওয়া উম্মি, ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন।

এদিকে তাকওয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান গাজী ইয়াকুব লিখেছেন,দিন তারিখ লিখে রাখুন সেদিন বেশি দূরে নয়,এই দাম্ভিকতার কারণে ফ্রান্স চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্র “ফ্রান্স”সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আমাদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিশ্ববাসীর সামনে অপমান অপদস্থ করার জন্য যে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন এঁকে মানুষকে দেখানোর জন্য বহুতল বিল্ডিং এর সামনে সাটিয়ে রেখেছে। এ বেয়াদবির পরিণামে ফ্রান্সসহ ইউরোপের মানুষজন অর্থাভাবে ক্ষুধার কাতরতায় ভিক্ষা করে খাবে। ওরা একান্নবর্তী হওয়া দূরের কথা টুকরো টুকরো হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

ফ্রান্স তাদের উগ্রতা ভয়াবহভাবে প্রকাশ করলো এবার। রাসুলে আরাবী, হৃদয়ের স্পন্দন, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লামকে নিয়ে তারা যে উগ্রতা আর হিংস্রতা দেখাচ্ছে তা সহ্য করার মতো না মন্তব্য করে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হাসিব আর রহমান লিখেছেন, ইসলাম ধর্মের উপর ক্ষোভ দেখাতেই উগ্রবাদী দেশ ফ্রান্স বিশ্বের শত কোটি মুসলমানদের কলিজায় আঘাত দিচ্ছে। বন্ধ করে দিচ্ছে বিভিন্ন এলাকার বড় বড় মসজিদগুলোও। নেতৃত্বশুণ্য মুসলমানরা আমরা হা-হুতাশ করে যাচ্ছি আমাদের মতো করে। আমরা জানি – ফ্রান্স তার পতনের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে। এই দেশটার চরম পতনের অপেক্ষায় আছি। ইনশাআল্লাহ সেই দিন দেখবো।

ফ্রান্স যা করছে, তা চরম পর্যায়ের বাড়াবাড়ি৷ অতিরিক্ত ধৃষ্টতা৷ পুরো উম্মতের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল উল্লেখ করে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মাওলানা জিয়াউর রহমান লিখেছেন, এ ক্ষেত্রে মৌলিকভাবে আমাদের দুটি করণীয় হতে পারে:

এক- তাদের যে সমস্ত পণ্য এ দেশের বাজারে চলছে, সবগুলো চিহ্নিত করতে হবে৷ তারপর এগুলো বর্জন করতে হবে৷

দুই- একটুকরো ফ্রান্স কিন্তু বাংলাদেশেও আছে৷ সেটি হচ্ছে তাদের দূতাবাস৷ দূতাবাসের মাধ্যমে ফ্রান্সের সরকারকে এসব বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা৷ কিভাবে চাপ প্রয়োগ করতে হবে, সেটা বলে দিতে হবে বলে মনে হয় না৷

এগুলো হচ্ছে শান্তিপূর্ণ কথা৷ কিন্তু কেউ যদি ফ্রান্সের বাড়াবাড়ির রিঅ্যাক্ট অ্যাপ্লাই করতে গিয়ে অশান্ত হয়ে ওঠে, তাহলে এর দায়ও ফ্রান্সের৷

এছাড়াও লন্ডনপ্রবাসী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মাহবুবুর রহমান তালুকদার  লিখেছেন, আজ মিম্বারে বসে ফরাসি মুসলিম-বিদ্বেষ আর তার ঢাবি শাখার বরকন্দাজ ‘জিয়া’র ইসলাম বিদ্বেষ সম্পর্কে কিছু কথা বললাম। রাসূলের প্রতি একজন মুমিনের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা ও ভালবাসা রাখার গুরুত্ব তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।

বাংলা ও ইংরেজিতে কথা বলার সময় এমনকি খুতবার সময়ও চোয়ালদু’টি শক্ত হয়ে ওঠেছে। মসজিদে খুতবাহ দিতে এমন দৃঢ় কণ্ঠে আর কখনো বয়ান করেছি বলে মনে পড়ে না।

মসজিদের জব, সরকারি গোয়েন্দাহর স্পাইং— এসবের পরওয়া করি না। রাসূলের অবমাননার প্রতিবাদে যদি স্ফুলিঙ্গের মত জ্বলে ওঠতে না পারি— তাহলে কীসের জব আর কীসের এই পোষাকি সমাজ??

ফ্রান্স কর্তৃপক্ষের এই ধৃষ্টতার প্রতিবাদে মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসুদ লিখেছেন, একটা হলো অপমান করার চেষ্টা করা অন্যটা হলো অপমানিত হওয়া। অপমান করার চেষ্টা করার দ্বারাই কেউ অপমানিত হয়ে যায় না। পশ্চিমারা আমাদের নবীকে অপমান করার চেষ্টা করলেও তিনি কখনোই অপমানিত হবেন না। কারণ মহান রব্বুল আলামীন তাঁর ব্যাপারে বলে দিয়েছেন, ‘ওয়া রফা’না লাকা যিকরক―আমি আপনার আলোচনাকে সমুন্নিত করেছি।‘ সুতরাং এদের এসব ফালতু কাজ নবীর শান ও মান কিছুতেই কমাতে পারবে না।

কিন্তু তারমানে এই না যে, আমরা ছেড়ে কথা বলব; বরং অপমান করার চেষ্টা করাটাকেই আমরা মৃত্যুতুল্য অপরাধ বলে মনে করি। এর কারণ হলো নবীজির উচ্চমর্যাদা এত বেশি যে, তাকে কিছু করা তো দূরের কথা তার দিকে চোখ বড় করে তাকানোটাই চোখ উপড়ে ফেলা যোগ্য অপরাধ। এজন্যই আমরা ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া দেখাই।

আল্লাহর ঘোষণা আছে, ‘ইন্না শানিআকা হুওয়াল আবতার―আপনার নিন্দুকেরা নির্বংশে পরিণত হবে।‘ সুতরাং ফ্রান্সের কপালে দারুন দুর্গতি আছে। সেটা আজ হোক বা কাল।

পূর্ববর্তি সংবাদনারায়ণগঞ্জে গলিত লোহা শরীরে পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
পরবর্তি সংবাদকরাচীতে ‘গৃহযুদ্ধের’ ভুয়া খবর নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মাতামাতি