যেভাবে পৃথিবীতে মূর্তিপূজার সূচনা হয়

সাদ উদ্দীন সাদী ।।

হযরত নূহ আলাইহিস সালামের কওম থেকে পৃথিবীতে মূর্তিপূজার সূচনা হয়। তাদের মূর্তিপূজার ঘটনা হলো, তারা পরস্পরে এই অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়েছিল যে, আমরা আমাদের দেব-দেবী, বিশেষত নিম্নোক্ত এই পাঁচ প্রতিমার উপাসনা ত্যাগ করবো না। ১. ওয়াদ্দ (وَدٌّ)। ২. সুওয়া (سُوَاعٌ)। ৩. ইয়াগুস (يَغُوْثُ)। ৪. ইয়াউক (يَعُوْقُ)। ৫. নাসর (نَسْرٌ)।

ইমাম বাগাবী রহ. বর্ণনা করেন, এই পাঁচজন প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তা‘আলার নেক ও খাস বান্দা ছিলেন। তাদের সময়কাল ছিল হযরত আদম ও হযরত নূহ ‘আলাইহিস সালামের যমানার মাঝামাঝি। তাদের অনেক ভক্ত ও অনুসারী ছিল। তাদের ইন্তেকালের পর তাদের অনুসারীরা লম্বা সময় পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত ও হুকুম-আহকামের প্রতি আনুগত্য অব্যাহত রাখে।

তারপর এক সময় শয়তান তাদের এই বলে প্ররোচিত করলো, তোমরা যেসব নেক বান্দার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইবাদত করো, যদি তাদের মূর্তি তৈরি করে সামনে রেখে নিতে পারো, তা হলে তোমাদের উপাসনা পূর্ণতা লাভ করবে এবং বিনয় ও একাগ্রতা অর্জিত হবে। তারা শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মূর্তি তৈরি করে ইবাদতখানা তৈরী করলো এবং তাদেরকে স্মরণ করে ইবাদতে বিশেষ আনন্দ অনুভব করতে লাগল।

এই অবস্থায়ই তাদের সবাই দুনিয়া থেকে বিদায় নিলো। তারা অবশ্য ঐসব মূর্তি বা প্রতিমার কখনোই পূজা করতো না। কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর সম্পূর্ণ নতুন এক বংশধর তাদের জায়গায় এলো। তারা এগুলোর হাকিকত জানতো না।

এবার শয়তান এসে এই নতুন প্রজন্মকে বুঝাল, তোমাদের পূর্বপুরুষদের খোদা ও উপাস্য ছিল মূর্তি ও প্রতিমা। তারা দুনিয়া ও আখিরাতের কামিয়াবীর লক্ষ্যে এসব মূর্তি ও প্রতিমারই উপাসনা করতো। তখন নতুন প্রজন্ম শয়তানের এসব কথা বিশ্বাস করলো এবং সেসব মূর্তি ও প্রতিমার পূজা শুরু করলো। তখন থেকেই পৃথিবীতে প্রতিমাপূজার সূচনা ঘটল।

পূর্ববর্তি সংবাদসহিংসতা বন্ধ হলে এখনই জরুরি অবস্থা তুলে নেবেন থাই প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তি সংবাদসামাজিক মাধ্যম থেকে সাধারণ মানুষের ছবি নিয়ে তৈরি হচ্ছে ভুয়া পর্ন