অবশ্যই গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটবে: ফখরুল

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: দেশের ২০৯ ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্র দখল করে প্রশাসনের সহায়তায় বিএনপিকর্মীদের বের করে নিজেদের পক্ষে ভোট নিয়েছে’। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে, ২০১৮ সাল থেকে এ ধরনের আচরণ আরো তীব্র হচ্ছে। এটাই প্রমাণ করে এ সরকার বা দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু-অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়’।

নির্বাচন কমিশন তার ব্যর্থতা পরিচয় দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ প্রতিকূল অবস্থায় দেশে সুশাসন, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা সহজ ব্যাপার নয় । তবে অবশ্যই গণআন্দোলনে মাধ্যমে  স্বৈরশাসনের অবসান ঘটবে। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠ কাজ করছে বিএনপি।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঠাকুরগাঁওয়ের তাঁতীপাড়ার পৈতৃক বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব বলেন মির্জা ফখরুল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ওবায়দুল্লাহ হক মাসুদ, অর্থসম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, দপ্তর সম্পাদক মামুন উর রশিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, অ্যাড. জয়নাল আবেদীন ও অ্যাড. আশিকুর রহমান প্রমুখ।

বুধবার জেলা পর্যায়ে ও পরে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল। এসব কর্মসূচি সফল করতে দলমত-নির্বিশেষে দেশের মানুষকে তার মুক্তির জন্য অংশ নিতে আহ্বান জানান তিনি ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া বেশ অসুস্থ, তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। দেশের বাইরে গিয়ে সু-চিকিৎসার নেয়ার জন্য তার ওপর থেকে বিদেশে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।

মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বে পদত্যাগ চাওয়ার অধিকার তার নেই। এ কথা তারা এ জন্যই বলেন যে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। নির্লজ্জভাবে তারা জোর করে প্রশাসনকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় থেকে এ ধরনের কথা বলছেন। নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করলেই দেখা যাবে বিরোধী দল হিসাবে বিএনপির ভূমিকা কতটুকু।

ফখরুল বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাড়া দিতে গিয়ে বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মী মিথ্যে মামলার আসামি। আর খুন হয়েছেন ১ হাজার নেতাকর্মী। সাবেক সংসদ সদস্যসহ। পাঁচ শ নেতাকর্মীকে গুম করেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী। এরপরও বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায়  লড়াই করছে’।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২০১৪ সাল থেকে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে । সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা-৫, পাবনা-৪ ও নওগাঁ-৬ আসনের  উপনির্বাচনে তার চিত্র দেখা গেছে।

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হচ্ছে না এমন অভিযোগের পরেও  বিএনপি কেন অংশ নিচ্ছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতার পরিবর্তন একটি মাধ্যম। গণতান্ত্রিক এ ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়া হচ্ছে।

 

পূর্ববর্তি সংবাদব্যর্থতার জন্য বিএনপির নেতাদের পদত্যাগ করা উচিত: সেতুমন্ত্রী
পরবর্তি সংবাদদুই ঘণ্টা চেষ্টার পর তেজগাঁওয়ের টায়ার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে