বাংলাদেশের আকাশে দেখা যায়নি রবিউল আওয়ালের চাঁদ

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা, ছবি: সংগৃহীত

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: বাংলাদেশের আকাশে আজ শনিবার রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ যায়নি। ফলে সোমবার (১৯ অক্টোবর) থেকে রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। সে হিসেবে ৩০ অক্টোবর, শুক্রবার ১২ রবিউল আউয়াল হবে।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমস্থ সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, ওয়াকফ প্রশাসক এস. এম তারিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (প্রশাসন) মুহা. নেছার উদ্দিন জুয়েল, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের পিএসও আবু মোহাম্মদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আবদুর রহমান, শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ, মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মো. হারুন আর রশিদ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালীয়ুর রহমান খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লাহসহ বিশিষ্ট আলেম-উলামারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে ঘোষণা করা হয়, শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এমতাবস্থায় সফর মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং ১৯ অক্টোবর থেকে রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। সে হিসেবে ১২ রবিউল আউয়াল ৩০ অক্টোবর, শুক্রবার।

১২ রবিউল আউয়াল বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস।

৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে ১১ হিজরির ঠিক এ দিনেই তিনি আল্লাহ প্রদত্ত রিসালাতের সব দায়িত্ব পালন শেষে আল্লাহতায়ালার ডাকে সাড়া দিয়ে মাওলার সান্নিধ্যে গমন করেন।

সর্বশেষ ও সর্বশেষ্ঠ নবীর জন্ম ও মৃত্যু একইদিনে হলেও কিছু মুসলিম দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বা জন্মউৎসবের দিন হিসেবে পালন করে থাকেন। আলেমদের মতে নবীর জন্মউৎসব পালনে কোনো উপকারিতা নেই। তার চেয়ে নবীর আদর্শ ধারণ করা বেশি উপকারী। এটা আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমও বটে।

দেশের মসজিদ-মাদরাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে রবিউল আউয়াল মাসে নবী জীবন ও তার আদর্শ নিয়ে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

পূর্ববর্তি সংবাদধর্ষণ রোধে কোরআনি আইন চালু করতে হবে: পিরোজপুর উলামা পরিষদ
পরবর্তি সংবাদছেলেটি এখন কোথায় যাবে?