এবার যৌন অপরাধের শাস্তি দৃশ্যমান করার কথা বললেন ‘বিশিষ্টজনরা’

অধ্যাপক ইমেরিটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

 ইসলাম টাইমস ডেস্ক: এবার যৌন অপরাধের শাস্তি দৃশ্যমান করার কথা বললেন বিশিষ্টজনরাও, যা ইসলাম অনেক আগেই বলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমেরিটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘ধর্ষণ রোধে দোষীদের অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে ও সেই শাস্তি অবশ্যই দৃশ্যমান হতে হবে। রাষ্ট্রকে অবশ্যই অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে এবং দ্রুত বিচার করতে হবে।’ গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, নারীর বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ ও সহিংসতা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এগুলোর সাথে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং শাস্তি থেকে মুক্তির পাওয়ার সংস্কৃতির গভীর যোগসূত্র আছে।

তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্নভাবে ঘটলেও এগুলো সমাজ ও রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নের প্রতিচ্ছবি। দুর্নীতি ও ধর্ষণও একই মূদ্রার উল্টো পিঠ।’

বিশিষ্ট এ শিক্ষাবিদ বলেন, ‘ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধীদের কোনো জবাবদিহিতা নেই এবং তাদের রাজনৈতিক প্রভাব ও আইনের দুর্বল প্রয়োগের ফলে তাদের খুব কমই শাস্তি পান। ধর্ষকরা মনে করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও তাদের শাস্তি হবে না। তারা তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে পুলিশকে সামলাতে পারবে। আর এ কারণেই আমরা এখন দেখছি ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে উঠছে।’

সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘পুঁজিবাদী ব্যবস্থা মানুষকে বিচ্ছিন্ন, দুর্বল ও শক্তিহীন করে ফেলেছে। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টায় অবৈধভাব অর্থ উপার্জন করে তারা এখন সমাজে শক্তিশালী এবং কোনো ধরনের জবাবদিহিতা ছাড়া যে কোনো কিছু করতে পারেন।

তিনি বলেন, ‘ধর্ষকদের কেবল শাস্তি দিয়েই থামানো যাবে না তাই সামাজ পরিবর্তনের আন্দোলন জরুরি।’

সিরাজুল ইসলাম বলেন, মানুষ এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুবই সক্রিয় এবং সেখানে তারা তাদের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। তবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিবাদের প্রভাব এক নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ কেবল নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেই স্বস্তি পাচ্ছে। তবে জনগণের শক্তি দেখানোর মাধ্যমে অপরাধীদের ভয় ধরিয়ে দিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমে আসা উচিত।

পূর্ববর্তি সংবাদবিক্ষোভ ঠেকাতে থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি
পরবর্তি সংবাদআব্বাজান মুফতি শফী রহ. যেভাবে মায়ের খেদমত করতেন