ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

শিগগিরই সংশোধিত আইনটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন।

দেশে ধর্ষণজনিত হত্যায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকলেও শুধু ধর্ষণের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এবার এ শাস্তিকে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড করা হলো।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃত্যুদণ্ড কোনো সমস্যার সমাধান নয়। শুধু সাজা বাড়ালেই ধর্ষণের এ মহামারী বন্ধ করা যাবে না। এ সমস্যার সমাধান করতে হলে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির মাধ্যমে শাস্তিগুলোকে দৃশ্যমান করতে হবে।

একই সঙ্গে মানুষের মধ্যে ধর্মীয়, মানবিক ও নৈতিক শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি অর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনতে হবে। কঠোর আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমেই অপরাধীদের নিরুৎসাহিত করতে হবে।

মানবাধিকার কর্মীদের মতে, সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হল- মানুষকে সংশোধন করা। অপরাধী না হয়ে উঠার জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

সম্প্রতি নোয়াখালীতে এক নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে রাজধানীসহ দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের ঝড় উঠে। মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে গত ৭ দিন ধরে।

এসব কর্মসূচি থেকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ডের’ দাবি উঠে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার এ আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ দেশে ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিচার হয়।

এ আইনের ৯(১) ধারায় বলা আছে, যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্তি অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

আর ৯(২) ধারায় বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

গতকাল রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক যুগান্তরকে বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০’ সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আইনটি পাস হলে তা শুধু প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য শিশু আইন-২০১৩’র বিধান অনুসরণযোগ্য হবে।

পূর্ববর্তি সংবাদপ্রিয় ছাত্র ভায়েরা! অল্প সময় বাকি এর খুব কদর করুন
পরবর্তি সংবাদটাঙ্গাইলে বেইলি সেতু ভেঙে ট্রাক নদীতে, যান চলাচল বন্ধ