থাইল্যান্ডে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত কমপক্ষে ১৮

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: থাইল্যান্ডে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কার ফলে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন।  আহত হয়েছেন আরো ৪০ জন।

আজ রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে রাজধানী ব্যাংকক থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সামুট পারাকান (Samut Prakan) প্রদেশ থেকে ৬০ জন তীর্থযাত্রী একটি বাসভাড়া করে ছাছোয়েনসাও (Chachoengsao) এলাকায় থাকা বৌদ্ধমন্দিরে যাচ্ছিল। রবিবার সকাল আটটা নাগার একটি লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা একটি ট্রেন এসে সজোরে ধাক্কা মারে। এর ফলে নিমিষে মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। খবর পেয়ে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসনের আধিকারিকরা এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।

ঘটনাস্থল থেকে ১৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর জখম যাত্রীদের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থলে মৃতদের দেহাংশ ছিটিয়ে পড়ে থাকার ছবি দেখে আঁতকে উঠছেন সবাই।

পুলিশ বলেছে, ওই বাসের ভিতরের যাত্রীরা বৌদ্ধদের একটি উৎসবের শেষ দিন পালন করতে মন্দিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। উদ্ধারকর্মীরা বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাসটি সরিয়ে নিতে প্রয়োজন একটি ক্রেন। বাসের ভিতর ৬০ জন যাত্রী ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান ওচা এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।

এপ্রসঙ্গে সামুট পারাকান প্রদেশে গর্ভনর মৈত্রি ত্রিতিলান্দ জানান, বৌদ্ধমন্দিরে থাকা সন্ন্যাসীদের হলুদ কাপড় দিতে যাচ্ছিলেন ওই তীর্থযাত্রীরা। পবিত্র এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য একটি বাসভাড়া করেছিলেন। কিন্তু, মন্দির পৌঁছনোর আগেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে যায়। এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জখমদের হাসপাতালেও ভরতি করা হয়েছে। তবে যা পরিস্থিতি তাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডে প্রায়শই পথ দুর্ঘটনার ফলে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। ২০১৮ সালে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)’র রিপোর্ট অনুযায়ী, পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর নিরিখে ওই বছর থাইল্যান্ড গোটা পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিল।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন, বিবিসি

পূর্ববর্তি সংবাদদলিত, মুসলিম ও জনজাতিদের ভারতীয় অনেকে মানুষই মনে করে না: রাহুল গান্ধী
পরবর্তি সংবাদধর্ষণের খবর প্রচারেও দরকার সতর্কতা