বিএনপি ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও ফেরত পাঠাতে পারেনি রোহিঙ্গাদের: তথ্যমন্ত্রী

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৯১ ও ’৯২ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বাংলাদেশে যেসব রোহিঙ্গারা এসেছিল তাদের অনেকে কিন্তু এখনো আছে। তাদের সবাই ফেরত যায়নি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলবো ১৯৯১ সালের পর বিএনপি দু’দফায় ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল, তাদের সময়ে যে রোহিঙ্গারা এসেছিল তাদের তারা ফেরত পাঠাতে পারেননি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি শিরিষতলায় ‘তিলোত্তমা চট্টগ্রাম’ আয়োজিত মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ৫ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠিক মতো হচ্ছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। সেখানে যেই বর্বরতা চলছিল সেই বর্বরতার হাত থেকে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা রক্ষা পেয়েছে। এতে সমগ্র পৃথিবী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যম প্রধানমন্ত্রীকে ‘মাদার অব হিমিউনিটি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। যেখানে সমগ্র পৃথিবী প্রশংসা করছে সেখানে বিএনপি প্রশংসা করতে পারেনি।

হাছান মাহমুদ আরো বলেন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই ওআইসি’র পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিচার হচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের সরকার কোনো যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে নয় কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে চাপের মাধ্যমে, কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে চায়, আমরা সেই পথেই হাঁটছি। এতে ইতিমধ্যে অনেক সফলতা এসেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক আদালত থেকে মিয়ানমারকে সমন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়ে যাবার জন্য বলা হয়েছে। অনেককে বিচারের আওতায় আনতে বলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মায়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালত থেকে তিরস্কারের মতোই করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশেরই কূটনৈতিক তৎপরতার সফলতা।

তিলোত্তমা চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাহেলা আবেদীন রীমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, সিএমপির উপপুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক, সাংবাদিক ওসমান গণি মনসুর, সিপিডিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখার সোহাগ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ প্রমুখ।

আরো পড়ুন: ‘সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যা কঠিনতর হচ্ছে’

পূর্ববর্তি সংবাদভারতে প্রতি ১৬ মিনিটে এক মেয়ে ধর্ষিত হয়: এনসিবি
পরবর্তি সংবাদ‘শারীরিক অবস্থার অবনতি’ হওয়ায় ট্রাম্পকে নেওয়া হলো হাসপাতালে