এনামুল হাছান নাহিদ ।।
হালুয়াঘাট থানা থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য ইমাম পরিবহনে উঠেছিলাম গতকাল ১৬ আগস্ট। বাসে উঠে দেখি সামাজিক দুরত্ব তো অনেক পরের বিষয়, বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী নিচ্ছে। আমি বাসে উঠে ১০০ টাকা ভাড়া দিলাম যেখানে নিয়মিত ভাড়া ৫০ টাকা। নতুন নিয়মানুযায়ী আমি দুই সীটের ভাড়া দেই। কিন্ত কিছুদূর যাওয়ার পর আমার পাশে যাত্রী বাসানোর জন্য আসেন বাসের সুপারভাইজার। আমি বাধা দিলে উনি আমাকে ২০০ টাকা ভাড়া দিতে বললেন। যা খুবই অমানবিক। আমার আশপাশে যাত্রীদের সাথেও একই আচরণ করছিলেন। দুই সীটে দুজন বসবে কিন্ত ভাড়াও দিগুণ দিতে হবে! সঙ্গে যথারীতি খারাপ ব্যাবহার!
এই লাগামহীন দুর্নীতি আর অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ফোন দিলাম 999 এ। ফোন দিয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে বিস্তারিত বললাম। বলার পর বাসের লোকেশন জানতে চাইলো। তখন বাস ছিলো তারাকান্দা বাসস্ট্যান্ড। ময়মনসিংহ কন্ট্রোল অফিস থেকে সাথে সাথে আমার ফোনে কল আসলো। দুই মিনিটের মধ্যে ব্যাবস্থা নেওয়া হলো।
তারাকান্দা থানার সামনে আসতেই পুলিশ ফোর্স নিয়ে বাসটাকে আটকানো হলো। বাস ড্রাইভার, সুপারভাইজার কিছুক্ষণ আগেও যেখানে খারাপ আচরণ করছিলো এবার এসে স্যার-স্যার বলা শুরু করলো। পুলিশ বাসে তল্লাশি চালালেন। এরপর যথারীতি আমাকে সাথে নিয়ে ড্রাইভার ও সুপারভাইজারকে থানায় (ওসি সাহেবের কক্ষে) নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিলেন। তারপর যাত্রীদের কাছে ড্রাইভার ও সুপারভাইজার ক্ষমা চাইলো।
আমার এই পদক্ষেপে খুব বেশি পরিবর্তন হয়তো হবে না। কিন্ত বাসে থাকা ভুক্তভোগী মানুষগুলোর চোখে মুখে যে খুশি দেখেছি সেটাই অনেক কিছু। ধন্যবাদ বাংলাদেশ পুলিশ তারাকান্দা থানাকে। 999 চমৎকার সেবা গ্রহণের মাধ্যম। আসুন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই আওয়াজ তুলি। এভাবে হয়রানি আর কতদিন!
শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
(লেখকের ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত)