ইসলাম টাইমস ডেস্ক: আজ ভোরে ফজরের সময় ঢাকার গুলশানের কোকাকোলায় মাদরাসাতু মুঈনুল ইসলাম মাদরাসায় শতাধিক সাদপন্থী সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা করে মাদরাসা দখলের পর অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা বের হতে বাধ্য হয়েছে।
রবিবার দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় প্রশাসন সব পক্ষকে মাদরাসা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের নির্দেশের পরও দখলকারী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন কৌশলে মাদরাসায় থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাদেরকে বের করে দেয়।
রবিবার সকালে মাদরাসায় সাদপন্থীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে বলে সংবাদ পাওয়া যায়। এতে মাদরাসার ছাত্রশিক্ষকসহ অনেকে আহত হন। কারো হাত ভেঙ্গে গেছে, কাউকে রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, আর কারো গলায় ছুরির আঘাত দেখা গেছে। মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, এবং এলাকাবাসী এই নেক্কারজনক হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনকে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি স্থানীয় এলাকাবাসী মাদরাসার ওলামায়ে কেরাম ও ছাত্রদের আশ্রয় প্রদানসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন।
নির্ভরযোগ্যসূত্রে জানা যায়, এ মাদরাসা দখল করে সাদপন্থীরা দীর্ঘদিন থেকে ‘মারকায’ বানানোর ষড়যন্ত্র করে আসছিল। ইতিপূর্বে আরেকবার তারা মাদরাসাটিতে হামলা করেছিল। কিন্তু ঐসময় তারা দখল করতে পারেনি। কিন্তু এবার ছুটির সময় থাকায় তারা অতর্কিতে এ কাজ করে। ফজর নামাজের পর শতাধিক সন্ত্রাসী মসজিদের গেইটে থাকা সিসি ক্যামেরা ইত্যাদি ভাংচুর করে ভিতরে ঢুকে পড়ে।
প্রসঙ্গত, দাওয়াত তাবলীগের এই বিচ্যুত গোষ্ঠী এতাআতীরা বিগত ১ ডিসেম্বর ২০১৮ টঙ্গী ময়দানে মাদরাসার ছাত্রশিক্ষকদের উপর নৃশংসভাবে হামলা চায়, যাতে শত শত আলেম ওলামা ও মাদরাসার ছাত্র আহত হন। এরপর থেকেই মাদরাসা ও মাদরাসার ছাত্রদের প্রতি এই গোষ্ঠীর বিদ্বেষ একের পর এক প্রকাশ পেতে থাকে। আজকের এ হামলাকে ১ ডিসেম্বরের পুনরাবৃত্তি বলেই অভিহিত করেছেন দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম।