হায়দারাবাদের ঐতিহাসিক মক্কা মসজিদে ঈদুল আযহার নামায হবে না

ইসলাম টাইমস ডেস্ক:  ভারতের শত শত বছরের ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী হায়দারাবাদের ঐতিহাসিক মক্কা মসজিদে এবার ঈদুল আযহার নামায অনুষ্ঠিত হবে না।

প্রতি বছর মক্কা মসজিদে ঈদুল ফিতর  ও ঈদুল আযহার নামায আদায় করা হলেও  করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর ঈদুল ফিতরের নামায আদায় করা হয়নি। এবার ঈদুল আযহার নামাযও অনুষ্ঠিত হবে না।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে মক্কা মসজিদের খতীব মাওলানা রেযওয়ান কুরাইশী মুসলমানদের ঈদুল আযহার নামায পাশ্ববর্তী মসজিদে আদায় করার অনুরোধ করেছেন। খতীব সাহেব তার বিবৃতিতে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করেছেন।

এর আগে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে ঐতিহাসিক এ মসজিদে ১৯ জুমার মধ্যে মাত্র ৫ জুমা আদায় করা হয়েছে। প্রতি শুক্রবার জুমার সময় মক্কা মসজিদ এবং চার মিনারের পাশে পুলিশ কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। হায়দারাবাদের মুসলমানদের আপত্তি হলো, ভারতের দিল্লির জামে মসজিদসহ অনেক বড় বড় মসজিদে নামায আদায় করা হচ্ছে। কেন্দ্রিয় সরকারের ঘোষণার পর প্রত্যেক ধর্মের ইবাদতখানাসমূহ খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হায়দারাবাদের ঐতিহাসিক দুই মসজিদ- মক্কা মসজিদ এবং শাহী মসজিদ জনগণের জন্য বন্ধ। মসজিদ দুটিতে মসজিদ কমিটির সদস্যরাই নামায আদায় করছেন।

উল্লেখ্য, পবিত্র মক্কাশরীফ থেকে মাটি এনে ইট তৈরী করে নির্মিত হয়েছিল হায়দারাবাদের বিখ্যাত এই মসজিদের প্রধান খিলান। যার ফলে এই মসজিদের নাম মক্কা মসজিদ।

দশ হাজার মুসল্লীর ধারনক্ষমতা সম্বলিত বিশাল মক্কা মসজিদ পৃথিবীর অন্যতম এক বিশাল মসজিদ। পর্যটকদের জন্য অবশ্য দর্শনীয় এই মসজিদ মুহাম্মদ কুলি কুতুব শাহ এর সময়ে ১৬১৪ সালে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হলেও এটা সম্পূর্ণ হয় ১৬৮৭ সালে যখন সম্রাট আওরঙ্গজেব গোলকু্‍ন্ডাকে মুঘল সাম্রাজ্যভূক্ত করেন।

এরই সাথে কুতুব শাহী বংশের যবনিকাপাত ঘটেছিল, কিন্ত মক্কা মসজিদ সহ চারমিনার তার স্বমহিমায় আজও টিকে আছে, আর ধরে রেখেছে তার শত বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ।

মিল্লাত টাইমস

পূর্ববর্তি সংবাদইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিসের ঈদ শুভেচ্ছা
পরবর্তি সংবাদপশুর হাটে মাস্ক না পরায় ১ হাজার টাকা জরিমানা