পশ্চিম তীর থেকে আরো দুই শতাধিক ফিলিস্তিনিকে গৃহহীন করবে ইসরাইল

ইসলাম টাইমস ডেস্ক:  ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর থেকে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনিকে বাড়িছাড়া করার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। পরিকল্পনা অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরে একটি ফিলিস্তিনি গ্রাম গুঁড়িয়ে দেবে দখলদার বাহিনী। এতে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়বেন সেখানকার দুই শতাধিক বাসিন্দা।

ফারাসিন নামের ওই গ্রামটির কাউন্সিল প্রধান মাহমুদ আমারনেহ সাংবাদিকদের জানান, ইসরায়েলি সেনারা ইতোমধ্যে গ্রামটিতে অভিযান চালিয়েছে। তারা ৩৬টি ভবন এবং প্রাচীন পানির কূপগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায় কয়েক দিনের ভেতর এগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, অবৈধ দখলদারিত্ব সম্প্রসারণের জন্যই এমন পরিকল্পনা নিয়েছে ইসরায়েল।

প্রাচীন এই লোকালয়ে ২০০ বছরের পুরনো একটি কূপ এবং বেশ কয়েকটি প্রাচীন ভবন রয়েছে। ফলে ঐতিহ্য রক্ষায় দখলদার বাহিনীর হাত থেকে গ্রামটিকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মাহমুদ আমারনেহ।

এমন সময়ে ইসরায়েলের এ পরিকল্পনা সামনে এলো যার কদিন আগেই ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। গত রবিবার টুইটারে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘তুরস্ক কখনও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে অন্য কারও হতে দেবে না।’

এরদোগান বলেন, বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেম) হচ্ছে  মুসলিম বিশ্বের রেড লাইন।  এটা স্পষ্ট যে বিশ্ব-ব্যবস্থা সুদীর্ঘ সময় ধরে ফিলিস্তিনিদের জন্য ন্যায়বিচার-শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিতে ব্যর্থ হয়েছে।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার কথিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ পেশ করেন। এর আওতায় তিনি বায়তুল মুকাদ্দাস বা জেরুজালেম শহরকে দখলদার ইসরাইলের অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন। এছাড়া পশ্চিম তীরের ওপরও ইসরাইলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব করেন ট্রাম্প। এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় থাকতে  ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টকে চাইলে ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নিতে বলেছেন বলেও খবর বেরিয়েছে।

পূর্ববর্তি সংবাদসিলেটে বাস-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষ: নিহত ৫
পরবর্তি সংবাদতোমাদের ভাই তোমাদের সেবক