বিতর্কিত গুরুদ্বারকে মসজিদে রূপান্তর: ভারতের নাগ গলানোর অধিকার কোথায়

ইসলাম টাইমস ডেস্ক:  বাবরি মসজিদ-রামজন্মভূমি প্রশ্নে ভারত কখনওই প্রতিবেশী রাষ্ট্রদের নাক গলাতে দেয়নি। সব সময়ই বিষয়টি অভ্যন্তরীণ বলে দাবি করেছে। কিন্তু এবার যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি বিতর্কিত গুরুদ্বারা, যা আগে মসজিদ ছিল, মসজিদ বানানোর উদ্যোগ গ্রহণের কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে, ভারত আগে বেড়ে নিজের কৃতকর্ম ভুলে গিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখানো শুরু করেছে।

জানা যায়,   লাহোরে অবস্থিত ওই ঐতিহাসিক বিতর্কিত গুরুদ্বারকে প্রশাসন মসজিদে পরিণত করতে চাইছে। তারই বিরোধিতা করে পাকিস্তান হাই কমিশনে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তাদের বক্তব্য, ওই গুরুদ্বারটি ঐতিহাসিক। সেটিকে যাতে মসজিদে রুপান্তরিত করা না হয়, তার ব্যবস্থা নিক পাক সরকার। একই সঙ্গে পাকিস্তানের মাটিতে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, মুঘল সম্রাট শাহজাহানের আমলে ১৬৫৩ লাহোরের কোতোয়াল আবদুল্লাহ খানের হাতে নির্মিত হয় লাহোর শহীদগঞ্জ মসজিদ। ১৭৯৯ পর্যন্ত এটি মসজিদ হিসাবেই বহাল থাকে।

যখন রাজা রঞ্জিত সিংয়ের নেতৃত্বে শিখ সেনারা শহীদগঞ্জ দখল করে তখন তারা শহীদগঞ্জ মসজিদটিকে গুরুদুয়ারায় পরিণত করে। এবং মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়।

লাহোর শহীদগঞ্জ মসজিদের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে শিখদের গুরুদুয়ারা।

১৮৪৯ বৃটিশরা শিখদের পরাজিত করে লাহোর দখল করে। তখন মুসলমানরা শহীদগঞ্জ মসজিদ আগের অবস্থায় ফেরত দেয়ার আবেদন জানায় বৃটিশ আদালতে। কিন্তু বৃটিশরা মুসলমানদের আবেদন ৫১ বছর দেরি হওয়ার অজুহাতে প্রত্যাখ্যান করে।

১৯৪৭ সনে দেশ ভাগের সময় যখন শিখরা লাহোর ছেড়ে যেতে শুরু করে তখন হাতে গণা  কয়েকজন শিখ শহীদগঞ্জ গুরুদুয়ারায় থেকে যায়। তখন যদি মুসলমানরা চাইতেন মসজিদ ভেঙ্গে নির্মিত গুরুদুয়ারাকে পুনরায় মসজিদ বানাবেন, তাহলে দুনিয়ার কোনো শক্তি ছিল না তাদেরকে বাধা দিবে। কিন্তু তারা সেটা করেন নি।

পূর্ববর্তি সংবাদএবার খৃস্টানদের ঐতিহাসিক সুমেলা চার্চ উদ্বোধন করলেন এরদোগান
পরবর্তি সংবাদপল্লবীতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী