মুসলিমদের নজরদারি করার জন্য অস্ট্রিয়ায় বিশেষ ‘তদন্ত বিভাগ’ চালু

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলমানদের কোনঠাসা করে রাখা দেশগুলোর মধ্যে ইউরোপের অস্ট্রিয়া অন্যতম। গত কয়েক বছরে দেশটিতে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে, একাধিক প্রদেশে মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ দেশটির সকল মুসলিমদের নজরদারির আওতায় আনার একটি কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে অস্ট্রীয় সরকার। এতে দেশটির ক্ষমতাসীন দল ওভিপি ছাড়াও বিরোধীদলগুলো সমর্থন জানিয়েছে।

রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে অস্ট্রিয়ায় বসবাসরত মুসলিমদের নজরদারি করার জন্য সরকার একটি ডকুমেন্টশন সেন্টার গঠন করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ ডকুমেন্টশন সেন্টার তদারিক কাজ শুরু করেছে। তুরস্কের ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদে রূপান্তরের ঘোষণার পর অস্ট্রিয়া সরকার মুসলমানদের বিরুদ্ধে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। খবর আনাদুলু এজেন্সির।

ইসলামের চিহ্ন নির্দেশকারী এমন কিছু কে ব্যবহার করে তা নজরদারির মধ্যে আনা এই সেন্টারের অন্যতম কাজ। কেউ প্রকাশ্য কোথাও নামায আদায় করলে বা ইসলামি কোনো অনুশাসন মেনে চললে তাকেও করা হচ্ছে তালিকভূক্ত।

মুসলিম কমিউনিটিতে সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত সংগঠনগুলোকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। একাধিক সংগঠনকে বন্ধ করে দেওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।

মোটকথা অস্ট্রিয়ার মুসলমানদের রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করে রাখার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতেছে দেশটির সরকার। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোরও তাতে সমর্থন রয়েছে।

আন্তর্জাতিকভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে, অস্ট্রিয়ার উদ্যোগে ইসলাম-বিদ্বেষ, বৈষম্য এবং বর্ণবাদের প্রতিফলন ঘটেছে। মুসলিম জনগোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে সস্তা রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাইছে সরকার।

 

পূর্ববর্তি সংবাদআরও ৩৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ২৫৪৮
পরবর্তি সংবাদযুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের প্রতিশোধ নিতে এবার চীনও বন্ধ করে দিল চেংডুর মার্কিন দূতাবাস