উপনির্বাচন: বগুড়ায় টাকা বিতরণে যাওয়ার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাবাসহ আটক ৫

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: বগুড়ার সোনাতলায় মাইক্রোবাস নিয়ে টাকা বিতরণ করতে যাওয়ার সময় বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) ইয়াসির ইন্তাজের বাবাসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

রোববার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার গড়ফতেপুর থানা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ জনগণের উপস্থিতিতে মাইক্রোবাস থেকে নগদ সাত লাখ টাকা, প্রার্থীর পোস্টার ও লিফলেট জব্দ করেছেন।

সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর আলম জানান, নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসার পর তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আটকরা হলেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার নারচী গ্রামের মৃত রহমত আলী মণ্ডলের ছেলে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক মার্কা) ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজের বাবা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এএসপি ইন্তেজার রহমান (৬৪), প্রার্থীর কর্মী একই গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে রোহান ফয়সাল (২৪), আবদুর রশিদের ছেলে ফারদিন বিন রশিদ (২০), মো. বাবলুর ছেলে মিকানুর ইসলাম (২৬) ও মাইক্রোবাস চালক ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাটামারা গ্রামের শহিজল ইসলামের ছেলে জামাল হোসেন (৩০)।

সোনাতলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদ হোসেন জানান, উপজেলার গড়ফতেপুর থানা মোড় এলাকায় রোববার দেড়টার দিকে একটি সন্দেহভাজন মাইক্রোবাস অবস্থান করছিল। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা মাইক্রোবাসটি থামিয়ে চালকসহ পাঁচ ব্যক্তিকে দেখতে পান। ভিতরে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজের পোস্টার, লিফলেট ও একটি ব্যাগ দেখতে পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে টহল পুলিশ সেখানে গিয়ে মাইক্রোবাসটি জব্দ করেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর আলম ও ওসি আবদুল্লাহ আল মাছউদ চৌধুরী ঘটনাস্থলে আসেন। তারা জনগণের উপস্থিতিতে মাইক্রোবাস তল্লাশি করে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইন্তাজের লিফলেট, পোস্টার ও ব্যাগে সাত লাখ টাকা পান। মাইক্রোবাসে থাকা প্রার্থীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত এএসসি ইন্তেজার রহমান ও অন্যরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তাদের আটক করে সোনাতলা থানায় নেয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ সাংবাদিকদের জানান, তার বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। সোনাতলা থানার ওসি তার পূর্ব পরিচিত হওয়ায় দেখা করতে থানায় যাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকা প্রার্থীর লোকজন মাইক্রোবাস তল্লাশি করে টাকা উদ্ধার করেন।

তিনি জানান, বগুড়া শহরে কয়েকটি এলাকায় রেডজোন ও লকডাউন থাকায় যাতায়াত করা সমস্যা। নির্বাচনসহ অন্যান্য খরচের জন্য বগুড়া শহরে বসবাসকারী চাচার কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়। ওই টাকা মাইক্রোবাসে ছিল।

ওই আসনে নৌকা প্রার্থী সাহাদারা মান্নান শিল্পী অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে টাকা বিতরণ করছিলেন। তিনি এ ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবার দাবি জানিয়েছেন।

সোনাতলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদ হোসেন জানান, আটককৃতরা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে টাকা বিতরণ করতে যাচ্ছিলেন।

পূর্ববর্তি সংবাদআয়া সোফিয়াকে মসজিদ ঘোষণার প্রতি সমর্থন জানাল রাশিয়া
পরবর্তি সংবাদশাহেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি