সফলতার সহজ কয়েকটি সূত্র

১. ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। আগামীকাল নিয়ে ব্যস্ত হবেন না। বরং আজকের দিনটি শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ আজকের দিনটি আপনার আগামী দিনের সোপান।

২. আপনার জীবন থেকে যা হারিয়ে গেছে তার জন্য আক্ষেপ করবেন না। যা হবার ছিল তা হয়ে গেছে। এখন হা-হুতাশ করা অর্থহীন। এতে আপনার অতীত ফিরে আসবে না।

৩. নিয়মিত হাঁটুন এবং শরীর চর্চা করুন। আলস্য বর্জন করুন। বেকারত্ব পরিহার করুন। নিজকে সর্বদা ব্যস্ত রাখতে সচেষ্ট হোন।

৪. অতিরিক্ত চা-কফি পান পরিহার করুন। ধূমপান থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন।

৫.  জীবনকে নতুন করে ঢেলে সাজান। জীবনের কর্মপদ্ধতিতে বৈচিত্র্য আনুন। আপনার দৈনন্দিনের রুটিন পরিবর্তন করুন।

৬. লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পড়তে থাকুন। এতে মন প্রফুল্ল থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে। বোঝা লাঘব হয়। এবং মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ রব্বুল আলামীন সন্তুষ্ট হন।

৭. প্রতিদিন যত পারুন ইস্তেগফার করুন। এতে আপনার গুনাহ মাফ হবে। জীবনের বোঝা হালকা হবে। এর উসিলায় আল্লাহ আপনাকে দান করবেন উপকারী এলেম, নেক সন্তান-সন্ততি।

৮. যে কোন বিপদে বিচলিত হবেন না। কারণ বিপদ দিয়ে আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের কাছে টেনে নেন। বিপদ আপনাকে আল্লাহ অভিমুখী হতে সাহায্য করে এবং আপনার থেকে গর্ব অহংকার ও আত্মনির্ভরতা নির্মূল করে।

৯. হিংসা অহংকার এবং শত্রুতা থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন। কারণ এগুলো আত্মার ব্যাধি এবং চিন্তা ও পেরেশানির বাহন।

১০. গুনাহের ব্যাপারে সাবধান থাকুন। কেননা গুনাহ যাবতীয় দুশ্চিন্তা ও বিষন্নতার মূল। আর দুঃখ দুর্দশা ও আপদ বিপদ এর প্রধান কারণও গুনাহ।

১১. কারো কটূক্তি ও সমালোচনায় ঘাবড়াবেন না। সমালোচনা আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। বরং ওই ব্যক্তি নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

১২. শত্রুর গালমন্দ এবং হিংসুকের হিংসা পরোয়া করবেন না। এতে আপনার মর্যাদায় বাড়তে থাকবে। কারণ শত্রুতা ও হিংসার শিকার তারাই হন যারা বিশিষ্ট ব্যক্তি হয়ে উঠেন।

১৩. মনে রাখবেন যে আপনার গীবত করলো করলো সে নিজের অজান্তেই তার নেকি আপনাকে উপহার দিল। এবং আপনার পাপগুলো নিজের কাঁধে তুলে নিল। আর লোকদের মাঝে আপনার খ্যাতি ছড়িয়ে দিল। এটাও এক প্রকার নিয়ামত।

১৪.  মানুষের কল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দিন। তাদের হৃদয় জয় করতে পারবেন। তাদের সঙ্গে আন্তরিক হোন। তারা আপনাকে ভালোবাসবে। মানুষের সামনে বিনয়ী হোন। তারা তারাই আপনাকে শেষে স্থান করে দিবে।

 

ভাষান্তর: মুহাম্মদ বিন নূর

শিক্ষার্থী, দাওয়াহ ‌বিভাগ, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া-ঢাকা

 

পূর্ববর্তি সংবাদকরোনা পরিস্থিতিতেও বন্ধ হয়নি শাহজালালের দরগায় গেলাফ ছড়ানো
পরবর্তি সংবাদস্কুলের বেতন নিয়ে দুমুখী সংকটে শিক্ষক ও অভিভাবকগণ