স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ুন

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ঈদের নামাজ ইসলামের অন্যতম শেআর। এর মাধ্যমে ইসলামের মহিমা ও শানশওকত ফুটে ওঠে। তাই ইসলামের সূচনাকাল থেকেই ঈদের জামাত মাঠে ময়দানে পড়ার নিয়ম অব্যাহতভাবে চলে আসছে।

এবছর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার মাঠে বড় জমায়েতের পরিবর্তে মসজিদে শর্ত সাপেক্ষে ঈদের নামাজের জামাতের অনুমতি দিয়েছে। সরকারের এ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের আলেমগণ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে ঈদের জামাত পড়ার জন্যে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করছেন।

মসজিদে সরকারের পক্ষ থেকে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি সত্ত্বে কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে কেউ কেউ ঘরে, বাড়ির উঠানে, বাসার ছাদে ঈদের জামাত পড়ার চিন্তা করছেন। এ নিয়ে নির্ভরযোগ্য আলেমদের সাথে যোগযোগ করা হলে তারা জানিয়েছেন, যেহেতু সরকারের পক্ষ থেকে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাছের মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে তাই বাসায়, বাসার ছাদে, উঠানে এসব জায়গায় ঈদের নামায আদায় না করা উচিত। প্রয়োজনে পাশের মসজিদে একাধিক জামায়াত করা হবে। আর ঈদের জামাতের ক্ষেত্রে সরকারের অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক নির্দেশনাবলীও মেনে চলতে হবে।

এ দিকে এক অডিও বার্তায় ঘরে ঈদের নামাজ সম্পর্কে বিশ্ববরেণ্য আলেম মুফতি তাকি উসমানি বলেন, হানাফী মাযহাব অনুযায়ী ঘরে ঈদের নামাজ পড়া যায় না। তদুপরি যখন মসজিদে ঈদের নামাজের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তখন তো ঘরে ঈদের নামাজ পড়ার কথা চিন্তাও করা উচিত নয়।

মসজিদে ঈদের জামাতের সুযোগ থাকা সত্বেও ঘরে ঈদের নামাজের প্রচলন ঘটানো ঈদের নামাজের উদ্দেশ্যের খেলাফ বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মুফতি তাকি উসমানী। তিনি বলেন, ঈদের নামাজ ইসলামের অন্যতম শিআর। এর মাধ্যমে ইসলামের শান শাওকত প্রকাশ পায়। তাই এটাকে ঘরে আদায় করা এই নামাজের উদ্দেশ্যর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

হাঁ, অন্যান্য ইমামদের নিকট ঘরে ঈদের নামাজ পড়ার অবকাশ আছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ অন্যান্য ইমামদের কথা অনুসরণ করে ঘরে ঈদের নামাজ পড়লে তাকে তিরস্কার করাও উচিত হবে না। যোগ করেন মুফতি তাকি উসমানি।

পূর্ববর্তি সংবাদএপেক্সের মঞ্জুর এলাহী সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত 
পরবর্তি সংবাদনিজ নিজ অবস্থানে থেকে ঈদ উদযাপন করুন: ওবায়দুল কাদের