কুমিল্লায় ৯ চিকিৎসকসহ ৬৩ আক্রান্ত , ২ জনের মৃত্যু

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: কুমিল্লা জেলায় নতুন করে ৯ চিকিৎসকসহ ৬৩ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত  ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ২০ এ দাঁড়ালো । এ নিয়ে কুমিল্লায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫২৮।

এদিকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৮ চিকিৎসকসহ ১০ জন আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ২৫ জন সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যাওয়া ব্রাহ্মণপাড়ার দুই জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের দাফন করা হয়েছে। এরা হলেন নাগাইশের দেলোয়ার হোসেন ও ব্রাহ্মণপাড়ার শামসুন্নাহার। আইসোলেশনে মারা যাওয়ার ব্রাহ্মণপাড়ার রকিব নামে একজনের নমুনা নেগেটিভ এসেছে।

তার পরিবারের লোকজন পরশু হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে লাশ দাফন করা হয়।

এছাড়া কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনী ও কার্ডিওলজি বিভাগের দুই চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালের আরেক কর্মীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
শহরের সরকারি মহিলা কলেজ গেইট এলাকার একজন, শহরের শাসনগাছার দুই জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

সদর দক্ষিন উপজেলার উত্তর বিজয়পুরের কুয়েত প্রবাসী একজন দেশের ফিরার পরের দিন টেস্ট করার পর তিনিসহ পরিবারের চার জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। ওই প্রবাসী দেশে ফেরার আগে টেস্ট করিয়ে আসেন। সে টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। কিন্তু এক দিনের মাথায় কিভাবে তিনিসহ পরিবারের সবাই আক্রান্ত হলেন তা খতিয়ে দেখছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া শহরের বজ্রপুর ইউসুফ স্কুলে পূর্বপাশের বাসায় মারা যাওয়া সিমেন্ট ব্যবসায়ীর বাসায় থাকা আরো একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি শুয়াগাজীর কৃষ্ণপুরে আইসোলেশনে আছেন।

বরুড়া আদ্রা ইউনিয়ন নছরপাড় গ্রামের মৃত আশ্রাফ আলীর ছেলে মোঃ বিল্লাল হোসেন (৪৫) করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মারা গেছেন। আজ দাফনের জন্য মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে । সে ঢাকা চিটাগং রোডের মাথায় ঔষধ ব্যবসা করতো।

বুড়িচং  উপজেলার সদর ইউনিয়নের  জিরুইন গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মো: বিল্লাল হোসেন করোনার উপসর্গ নিয়ে শনিবার সকাল ৮টার সময় ঢাকা একটি প্রাইভেট হাসপাতালে মারা যান।
বুড়িচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মীর হোসেন মিঠু জানান,তিনি কয়েক দিন যাবৎ সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এমনি উপসর্গ ঢাকা হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার। সেখানেই মারা যান তিনি। ঢাকা ডাক্তাররা তার নমুনা সংগ্রহ করেছেন। রির্পোট আসলে আমরা পুরোপুরি ভাবে নিশ্চিত হতে পারবো।

ডাক্তার মো: বিল্লার হোসেন দির্ঘদিন ধরে বুড়িচং উত্তর বাজার একটি চেম্বারে বসে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।মুরাদনগর উপজেলার হাসপাতালের স্যাম্পল কালেকশন টিমের ৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত স্টাফ সহ  ৬ জন।

এ নিয়ে কুমিল্লায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫২৮   আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাঙ্গলকোটে ২৫ জন, মুরাদনগরে ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সিটি করপোরেশনে ৩ জন, আদর্শ সদরে ২ জন, সদর দক্ষিণে ৬জন, লাকসামে ৭ জন,  বুড়িচংয়ে ১ জন, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুই জন মারা গেছেন। তারা ব্রাহ্মণপাড়ার।শনিবার বিকেল পর্যন্ত কুমিল্লা জেলা থেকে  ৬৫৫৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর এই পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট এসেছে ৬০২৪ জনের। এর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২৬ জন। আজকের ২ জনসহ মারা গেছেন ২০ জন ।

পূর্ববর্তি সংবাদঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু
পরবর্তি সংবাদদেশের আকাশে দেখা যায়নি শাওয়ালের চাঁদ, ঈদ সোমবার