প্রতিষেধক হিসেবে নিয়মিত হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন নিচ্ছেন ট্রাম্প

হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ মূলত ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। করোনাভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোনও স্বীকৃত ওষুধ আবিষ্কৃত না হওয়ায় পরীক্ষামূলক হিসেবে এগুলো বিভিন্ন দেশে ব্যবহার হচ্ছে। করোনার চিকিৎসায় এগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই এটিকে ‘গেমচেঞ্জার’ আখ্যা দিয়েছেন। হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এর প্রধান উৎপাদক ভারতকে চাপ দিয়ে বেশ কিছু আমদানিও সেরে ফেলেছেন তিনি।

তবে গত ২৪ এপ্রিল বিবৃতি দিয়ে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রাশাসন বিভাগ (এফডিএ)। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ওষুধ দুটি ব্যবহারের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। হাসপাতাল ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বাইরে করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ওষুধ দুইটি প্রয়োগ না করার পরামর্শ দেওয়া হয় বিবৃতিতে।

হোয়াইট হাউসের বেশ কয়েক জন কর্মীর করোনা শনাক্ত হওয়ার পর প্রতিদিন ৭৩ বছর বয়সী ট্রাম্পের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সোমবার করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্থ রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে যোগ দেন তিনি। এই সময় ট্রাম্প জানান হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার নিয়ে হোয়াইট হাউসের চিকিৎসকদের পরামর্শ জানতে চেয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসকেরা তাকে এটি গ্রহণ করতে বলেছেন বলে জানান ট্রাম্প।

তবে ট্রাম্পের মন্তব্যের পর সেন্ট জোসেফ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান ড.বব লাহিতা ফক্স নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মানুষকে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার না করার বিষয়ে সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এর কোনও প্রভাব দেখিনি আর আমরা একাধিক রোগীকে এটি দিয়ে চিকিৎসা করে দেখেছি।’

সোমবার ট্রাম্প জানান, সংক্রমণ ঠেকাতে তিনি অ্যাজিথ্রোমাইসিন অ্যান্টিবায়োটিকের সিঙ্গেল ডোজ নিচ্ছেন। এছাড়া হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন-এর পাশাপাশি তিনি জিঙ্কও গ্রহণ করছেন বলে জানান। ‘আর এখন পর্যন্ত আমি আপনাদের বলতে পারি আমি ভালোই আছি,’ বলেন ট্রাম্প।

পূর্ববর্তি সংবাদলক ডাউনে ঈদযাত্রা : সিরাজগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬
পরবর্তি সংবাদভারতে ১ লাখ ছাড়াল করোনা শনাক্তের সংখ্যা