নাকাবার স্মৃতি: ‘কুদস পুনরুদ্ধারের চেতনা প্রতিটি ফিলিস্তিনির উত্তরাধিকারের অংশ’

তারিক মুজিব ।।

নাকাবা। ফিলিস্তিনের চূড়ান্ত বিপর্যয় দিবস। ১৯৪৮ সালের ১৫ মে একদিনের হামলায় সন্ত্রাসবাদী ইয়াহুদিরা পবিত্রভূমির বড় একটা অংশ দখল করে নেয়। একদিনের ব্যবধানে সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুহারা হয়ে যায়। নাকাবা দিবসের ৭২ বছর পূর্ণ হলো আজ।

এই দীর্ঘসময়ে অধিকার আদায়ে দাবিতে একটি প্রজন্মে প্রায় তিরোহিত হয়ে গেছে। তবে ফিলিস্তিনে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশুই পবিত্রভূমি পুনরুদ্ধারের ব্রত নিয়ে বড় হয়।

নিজেদের ভূখণ্ডের স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনা তাদের উত্তরাধীকারের অংশ। স্বাধীনতার স্বাদ বঞ্চিত একজন ফিলিস্তিনি পিতা মৃত্যু কিংবা শাহাদাতের আগে সন্তানকে বুঝিয়ে দেয় তার পবিত্র আমানত।

তাই দখলদার সন্ত্রাসবাদী ইয়াহুদিদের বর্বরতার মুখে একটি দিনের জন্যও থেমে থাকেনি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির সংগ্রাম। ছোট ছোট শিশুরা একজন ইসরায়েলি সেনার সমরাস্ত্রের বিরুদ্ধে অকতুভয় লড়াই করে পাথর ছুঁড়ে ছুঁড়ে।

ছবির শিশুরা ফিলিস্তিনি সৈনিক। পবিত্রভূমি পুনঃরুদ্ধার আন্দোলনের পরবর্তী সংগ্রামী। শরণার্থী শিবিরে তাদের বসবাস। তবে কেউ তাদের ভিটে মাটির কথা ভুলে যায়নি। বংশপরম্পরায় পিতাদাদার কাছে তারা নিজেদের জন্মভূমির গল্প শুনতে শুনতে তারা এতটুকু বড় হয়েছে।

নাকাবা দিবস উপলক্ষে আলজাজিরার একটি ভিডিও প্রতিবেদনে দেখা যায় তাদের দিকে যখন ক্যামেরা তাক করা হলো একেকজন দৃপ্তকণ্ঠে নিজেদের জন্মস্থান এবং তা পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দিল।

‘আমার বাবার বাড়ি ইয়াফায়’। ‘আমার দাদা বারিরে থাকতেন’। ‘বারবারে আমাদের বাড়ি’। ‘আমরা সিমসাম থেকে এসেছি’।

সবার এক বক্তব্য- আমরা বংশ পরম্পরায় সংগ্রামের উত্তরাধিকার বয়ে চলছি। আমাদের প্রত্যেক পরবর্তী প্রজন্ম আগের প্রজন্মের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ- যতদিন পর্যন্ত সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কুদসের যমিনে সিজদা দিতে না পারব ততদিন পর্যন্ত চলবে আমাদের লড়াই। মুক্তির সংগ্রাম।

আবো পড়ুন: নাকবা: ফিলিস্তিন প্রশ্নে আরব শাসকদের শঠতা বোঝা বড় কঠিন

পূর্ববর্তি সংবাদনোয়াখালীতে স্বাস্থ্যকর্মীসহ করোনায় আক্রান্ত আরও ২০ জন
পরবর্তি সংবাদপৃথক ঘটনায় একদিনে পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু