মাওলানা রাশেদুর রহমান।।
‘আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যে কোন অবস্থাতেই আমার মৃত্যু হোক’ শাহাদাত বরণের সময় সাহাবী হযরত খুবায়ব (রাঃ) তার জবানে এই কথা উচ্চারণ করেছিলেন এবং বলেছিলেন, আমার শরীর যেহেতু একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই, তাই তিনি ইচ্ছে করলে আমার প্রতিটি কর্তিত অঙ্গে বারাকাত প্রদান করতে পারেন।’’
এরপর হারিসের পুত্র আবূ সারুআ ‘উকবাহ তাঁর দিকে দাঁড়াল এবং তাঁকে শহীদ করে দিল। এভাবেই খুবায়ব (রাঃ) সে সব মুসলিমের জন্য দু’ রাক‘আত সালাতের সুন্নাত চালু করে গেলেন যারা ধৈর্যের সঙ্গে শাহাদাত বরণ করেন।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐদিনই সহাবীদেরকে জানিয়েছিলেন যে দিন তাঁরা শত্রু বেষ্টিত হয়ে শাহাদাত বরণ করেছিলেন।
এদিকে কুরাইশদের নিকট খুবায়ব (রাঃ) -এর নিহত হওয়ার খবর পৌঁছলে তারা নিশ্চিত হওয়ার জন্য খুবায়ব (রাঃ)-এর শরীরের কোন অঙ্গ কেটে আনাতে কতক কুরাইশ কাফিরকে প্রেরণ করল। যেহেতু (বদরের দিন) খুবায়ব (রাঃ) কুরাইশের একজন বড় নেতাকে হত্যা করেছিলেন, তাই তাঁর ব্যাপারে মক্কার কুরাইশদের ছিল তীব্র আক্রোশ।
এদিকে আল্লাহ্ ‘ খুবায়ব (রাঃ) এর লাশকে হিফাযাত করার জন্য মেঘের মত এক ঝাঁক মৌমাছি পাঠিয়ে দিলেন। মৌমাছিগুলো খুবায়ব (রাঃ) -এর লাশকে শত্রু সেনাদের হাত থেকে রক্ষা করল। ফলে তারা তাঁর দেহের কোন অঙ্গ কেটে নিতে পারল না। – সহীহ বুখারী ৩৯৮৯ আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে নবী-সাহাবীদের পূর্ণ অনুসরণ করার তাওফিক দিন।
এজাতীয় ঘটনা হযরত আসেম ইবনে সাবিত রা.-এর সাথেও ঘটেছে বলে বর্ণিত হয়েছে।