ইসলাম টাইমস ডেস্ক: করোনাভাইরাস সঙ্কটে কারাগারগুলোর ভার কমাতে প্রায় ৩ হাজার সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই ২ হাজার ৮৮৪ জন বন্দির অবশিষ্ট কারাদণ্ড মওকুফ করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কারাগারগুলোতে পৌঁছানোর পর তা কার্যকরও শুরু হয়ে গেছে।
ইতিমধ্যে নওগাঁ জেলার কারাগার থেকে শনিবার ১১ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
নওগাঁর কারাধ্যক্ষ শাহ আলম বলেন, যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে, তাদের মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রথম দিনে মুক্তিপ্রাপ্তদের অধিকাংশই ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত বলে জানান তিনি।
শনিবার প্রথম ধাপে ১৭০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন।
তিনি বলেন, “সরকার বিশেষ বিবেচনায় লঘুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রায় ৩ হাজার সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।”
দেশে ৬৮টি কারাগারে ৯০ হাজারের মতো বন্দি রয়েছে, যা কারাগারগুলোর ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি।
কোভিড-১৯ কারণে কারাগারগুলোতে ঝুঁকির মাত্রা থাকে অত্যন্ত বেশি। সেজন্য বন্দির চাপ কমানোর উদ্যোগ নেয় সরকার।
শনিবার দেশের বিভিন্ন কারাগারে থেকে ১৭০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে কর্নেল আবরার বলেন, বাকিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়া হবে।
এই ১৭০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৪ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ জন কয়েদি রয়েছেন।
‘লঘুদণ্ড’র ব্যাখ্যায় কারা কর্মকর্তা আবরার বলেন, “বিভিন্ন অপরাধে যাদের সাজা এক বছর এবং তার থেকে কম হয়েছে, তাদের বেলায় এই আদেশ কার্যকর করা হচ্ছে।”
পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সপ্তাহখানেক লাগবে বলে জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বন্দিদের তালিকা যুক্ত করে বলা হয়, তালিকাতে বর্ণিত কয়েদিদের ক্ষেত্রে এই আদেশ কার্যকর হবে।
বন্দিদের মুক্তির সময় জরিমানার অর্থ আদায়ের বিষয়টি দেখে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে।
২ হাজার ৮৮৪ কয়েদিকে তিন ধাপে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। ছয় মাস থেকে এক বছর সাজাভোগকারী, তিন মাস ছয় মাস সাজাভোগকারী, তিন মাস পর্যন্ত সাজাভোগকারী্ কয়েদিরা মুক্তির এই সুযোগ পাচ্ছে।