রোগ গোপন ও রোগীকে হয়রানির পাল্টা অভিযোগ: সুরাহা কোন পথে!

নুরুদ্দীন তাসলিম।।

করোনাকে ঘিরে সারাদিন চোখে পড়ছে অনাকাঙ্ক্ষিত সব ঘটনা- করোনা উপসর্গ বা সন্দেহের জেরে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না করা, পাঁচ, ছয় হাসপাতাল ঘুরে বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু। রোগীর আত্মীয়দের রোগ গোপন করে হাসপাতালে ভর্তি করানো, সে রোগী থেকে ডাক্তার,ডাক্তার থেকে তার সহকর্মী এভাবে একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা। প্রতিদিন মিডিয়া মারফতে এসব ঘটনা আমাদের চমকে দিচ্ছে সাথে বাড়িয়ে দিচ্ছে ভয়।

রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না করানো, এই ভয়ে রোগীর পক্ষ থেকে রোগের তথ্য গোপন করা , এক দ্বিমুখী অবহেলা-দোষারোপ, এ জন্য কি কোন পক্ষকে দায়ী করা যায়? জানতে চেয়েছিলাম প্রবীণ সাংবাদিক -দৈনিক নয়া দিগন্তের সাব এডিটর ও দারুর রাশাদ মাদরাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা লিয়াকত আলীর কাছে, তিনি বলছেন, ব্যাপরটা অবহেলা বা দোষের নয় বরং সচেতনতা অসচেতনতার।

তার ভাষায়, সেবাই ডাক্তারদের মহান পেশা তাই রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি না করা ডাক্তারদের কখনো উচিত নয় । অপরদিকে এই ভয়ে রোগীর পক্ষ থেকে রোগ গোপন করে হাপতালে ভর্তি হওয়াতে শুধু করোনার ঝুঁকি  নয়, করোনা ছাড়া রোগীর অন্য কোন রোগ থাকলে সেক্ষেত্রে ডাক্তার ক্ষতিগ্রস্থ না হয়ে রোগী বড় কোন রোগের সম্মুক্ষীণ হতে পারে । যা আদৌও ভাল কোন ফলাফল বয়ে আনবে না বলছিলেন মাওলানা লিয়াকত আলী।

এছাড়া ডাক্তারদের উন্নত পিপিই না থাকার ব্যাপারে যে অভিযোগ উঠছে সেক্ষেত্রে সাংবাদিক মাওলানা লিয়াকত আলী বলেন, এব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। জীবনের ভয় ডাক্তারদেরও আছে , অন্যের সেবা করা মানে নিজের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দেওয়া এটা ডাক্তারের সঙ্গা হতে পারে না।তাই পরিপূর্ণ নিরাপত্তা না পেলে ডাক্তাররা ঝুঁকি নিয়ে রোগীর সেবায় যেতে চাইবেন না।

এজন্য রোগী ডাক্তার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবার সচেতনতা আবশ্যক বলে মনে করছেন মাওলানা লিয়াকত আলী।

আরো পড়ুন: সামাজিক নির্মমতা বাড়িয়ে দিচ্ছে করোনা সংকট!

পূর্ববর্তি সংবাদ‘মহামারীর সময়ও সরকার বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার নীল নকশা থেকে পিছু হটেনি’
পরবর্তি সংবাদকরোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন