ইসলাম টাইমস ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বময় করোনা মহামারীর প্রকোপের কারণে সঙ্গত কারণেই সে ভাষনের অনেকাংশে ছিল করোনা ভাইরাস বিষয়ক আলোচনা। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষনের প্রেক্ষিতে নিজেদের প্রত্যাশা ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন সমমনা ইসলামি দলসমূহের নেতৃবৃন্দ।
আজ ২৬ মার্চ জমীয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা নূর হুসাইন কাসেমী, খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী,খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড,আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, ইলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড,মাওলানা ঈসা শাহেদী ও মুসলিম লীগের মহাসচিব এ্যাডভোকেট আবুল খায়ের সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, আজ ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ৷ ১৯৭১ সালের এই দিনেই শুরু হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধ ৷ দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ৷ সেই থেকে প্রতিবছর দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে জাতীয়ভাবে ৷
আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৯তম বার্ষিকী ৷ কিন্তু এবার স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হচ্ছে এমন এক পরিবেশে, যখন সারা দুনিয়া কাঁপছে নভেল করোনা নামক এক ভয়াবহ ভাইরাস আতঙ্কে ৷ তাই এবারের স্বাধীনতা দিবসের সকল আয়োজন চলছে ভিন্ন আঙ্গিকে ৷
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ অতি স্বাভাবিক কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এবারের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণের সিংহভাগই ছিল উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতি বিষয়ে ৷ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বিশ্বের অবস্থা এবং বাংলাদেশের অবস্থা কিছু জরূরী পরিসংখ্যানসহ তুলে ধরেন তিনি ৷ সংকট উত্তোরণে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ ও দেশের মানুষের করণীয় বিষয়ের নির্দেশনাও ছিল বিস্তারিতভাবেই ৷ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ, নানা বিধিনিষেধ আর সংশ্লিষ্ট সকল খুঁটিনাটি বিষয়ে চমৎকার নির্দেশনা থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি থেকে গেছে পূর্ণই উপেক্ষিত।
যেখানে পৃথিবীর ক্ষমতাধর ও পরাক্রমশালী রাষ্ট্রপ্রধানরাও পরিস্থিতির ভয়াবহতায় মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি ধাবিত হওয়ার ও তাঁর সাহায্য প্রার্থণার জন্য জাতিকে আহ্বান জানাচ্ছেন, সেখানে আমাদের মত ধর্মপ্রাণ একটি জাতির প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় দুর্যোগকালীন ভাষণে সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ ও জাতির প্রতি প্রার্থণার কোনো আহ্বান শোনা যায়নি ৷ অথচ পরিস্থিতির আলোকে এটি ছিল খুবই প্রত্যাশিত ৷
ঐতিহাসিক এই ক্রান্তিকালে পাপ-পঙ্কিলতামুক্ত জীবন গঠন, অশ্লীলতা-বেহায়াপনা রোধ, ন্যায়নীতি-ইনসাফের অনুশীলন ও সর্বোতভাবে আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পন জাতিকে রহমতের ছায়াতলে নিয়ে যেতে পারে ৷ জাতি তাদের শাসকবর্গের কাছ থেকে এমন শপথ ও নির্দেশনার আহ্বান শুনতে চায় ৷
নেতৃবৃন্দ দেশের মানুষকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার পাশাপাশি আল্লাহর নিকট তওবা এস্তেগফার ও বিপদমুক্তির লক্ষ্যে দোয়ার জন্য বিশেষ আহ্বান জানান ৷