করোনাভাইরাস নিয়ে সুখবর শোনালেন নোবেলজয়ী রসায়নবিদ মাইকেল লেভিট

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বে সৃষ্ট আতঙ্কজনক পরিস্থিতির আসু সমাপ্তির সুখবর শোনালেন নোবেলজয়ী রসায়নবিদ মাইকেল লেভিট। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর সমাপ্তি নিকটবর্তী। আমরা ক্রমেই ভালোর দিকে যাচ্ছি। চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্তের ক্রমহ্রাসমান সংখ্যা উল্লেখ করে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন বলছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি বন্ধুদের কাছে পাঠানো এক রিপোর্টে লেভিট ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চীনে করোনায় মৃত্যুর হার কমে যাবে। তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয়, মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই কমতে থাকবে। লেভিটের এই ভবিষ্যদ্বাণী চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হয়।

তার তিন সপ্তাহ পর চায়না ডেইলি নিউজকে এই নোবেলজয়ী বলেন, ‘এ ভাইরাসের সংক্রমণের হার শেষের দিকে চলে এসেছে।’ তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেন, সব মিলিয়ে কভিড-১৯-এ চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজারে গিয়ে ঠেকবে। মারা যাবে ৩ হাজার ২৫০ জনের মতো। লেভিট যখন এ ভবিষ্যদ্বাণী করেন, তখন চীনের হুবেই প্রদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার প্রতিদিন ৩০ শতাংশ হারে বাড়ছিল। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আক্রান্তের সংখ্যা সরলরৈখিকভাবে কমতে শুরু করে এবং মৃত্যুর সংখ্যাও একইভাবে কমতে থাকে। তার এ ভবিষ্যদ্বাণী আশ্চর্যজনকভাবে পরবর্তীতে সত্যে পরিণত হয়। মার্চ ১৬ পর্যন্ত এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চীনে তখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ২৯৮। মারা যান ৩ হাজার ২৪৫ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ১৭১ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ২৭৭ জন। আগের তুলনায় চীনে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। গত সোমবার দেশটিতে নতুন করে ৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। তবে এর মধ্যে ৭৪ জনই বিদেশফেরত।

লেভিট বলেন, করোনা নিয়ে কথা উঠলেই এটি মানুষকে অনেক ভয় দেখায়। কারণ প্রতিদিনই তারা নতুন নতুন আক্রান্তের খবর পাচ্ছেন। তবে বিষয় হচ্ছে, সংক্রমণের হার ধীর হয়ে যাওয়ার অর্থ হলো মহামারীটির সমাপ্তি খুব কাছাকাছি এসে গেছে। একই সঙ্গে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, মার্চের শেষে ভাইরাসটি চীন থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লেভিট আরও দাবি করেন, বেশির ভাগ ব্যক্তির শরীরে কভিড-১৯ প্রতিরোধের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া ইতিমধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের মধ্য অবস্থা অতিক্রম করেছে এবং ইতালিতে বয়স্ক জনসংখ্যার হার বেশি থাকায় দেশটিতে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। লেভিট বলেছেন, আমাদের এখন যা দরকার তা হলো এ মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ করা। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলার ব্যবস্থা (সোশ্যাল ডিসট্যানসিং মেজারমেন্ট) গ্রহণ করা হলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

পূর্ববর্তি সংবাদসম্পাদকীয় লাইভ: অসতর্ক মানবাচার, শুদ্ধ করি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি
পরবর্তি সংবাদকরোনার ভয়াবহতায় পত্রিকার কলেবর ও দাম কমছে, সাময়িক বন্ধও হতে পারে