গ্রিস সীমান্তে সিরীয় শরণার্থীদেরকে নির্মম নির্যাতন (ভিডিও)

তারিক মুজিব ।।

সিরিয়ার ইদলিবে আসাদ বাহনীর হামলায় ৩৩ তুর্কী সেনা নিহত হওয়ার পরপরই পাল্টা হামলা চালায় তুরস্ক। পাশাপাশি তুরস্কে বসবাসরত সিরীয় শরণার্থীদের জন্য ইউরোপের সীমান্ত খুলে দেয় দেশটি। শরণার্থীরা দলে দলে ইউরোপ অভিমুখে রওয়ানা হয়। তবে শরণার্থী গ্রহণে রাজি হয়নি ইউরোপের দেশগুলো। গ্রিস থেকে শরণার্থীদের নির্মম নির্যিতন করে তুরস্কে ফেরত যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। নির্যাতনের পদ্ধতিও বড় অমানবিক।

ইউরোপে এখন তীব্র শীত। তীব্র শীতের মধ্যে সিরীয় শরণার্থীদের কাপড় খুলে নিয়ে বাইরে খোলা আকাশের নিচে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গ্রিস সীমান্তে শরণার্থীদের কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে কখনো গুলি ছুড়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে শরণার্থীবাহী ট্রলারে গ্রিস কোস্টগার্ডদের গুলি চালাতে দেখা গেছে।

এছাড়াও তীব্র শীতে লাঠিপেটা করা, খালি গায়ে পানিতে নামিয়ে দেওয়ার চিত্রও দেখা গেছে আল জাজিরার প্রচারিত ভিডিওতে।

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী বলছে, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় তারা শরণার্থীদের গ্রহণ করতে পারছে না। তাদের দাবি জাতিসংঘ এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেবে। তাদের দেশে শরনার্থীদের জায়গা হবে না।

এদিকে তুরস্কও পুশব্যাক ঠেকাতে সীমান্তে একহাজার বিশেষ এক্সট্রা পুলিশ মোতায়েন করেছে। এমনিতেই তাদের দেশে প্রায় ৩০ লাখের মতো শরণার্থী রয়েছে। ইদলিব থেকেও গোপনে প্রতিদিনই তুরস্কে ঢুকছে মানুষ। শরণার্থী চাপ সামলাতে না পেরেই তুরস্ক ইউরোপের সীমান্ত খুলে দিয়েছিল।

পূর্ববর্তি সংবাদকরোনা আতঙ্ক: বাংলাদেশসহ সাত দেশে ফ্লাইট বাতিল করল কুয়েত
পরবর্তি সংবাদ৭ মার্চের ভাষণকে যারা অস্বীকার করে তারা স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করে: ওবায়দুল কাদের