একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. ইয়াসির নাদীম (দ্বিতীয় পর্ব): ‘দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদ পরাজিত ও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে’

ড. মুফতি ইয়াসির নাদীম আল ওয়াজেদী। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয় এক মেধাবী ইসলামী স্কলার। তারুণ্যদীপ্ত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। ইউটিউবে তার জনপ্রিয় টকশো- সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বহু দর্শক-শ্রোতাকে আকর্ষণ করে। ভারতের এক মশহুর ইলমি খান্দানের উত্তরসুরী এই অ্যাংকর ও আলোচক ইসলাম ও মুসলিম স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুক্তিপূর্ণ ভাষায় আলোকপাত করে থাকেন। ভারত, উপমহাদেশ ও বিশ্ব মুসলিমের বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি কথা বলেন।

সম্প্রতি প্রথমবারের মতো এক সপ্তাহের এক দ্বীনী দাওয়াতি সফরে বাংলাদেশে আসেন। সফরের ব্যস্ত শিডিউলের এক ফাঁকে ইসলাম টাইমস -এর সঙ্গে দুটি একান্ত সাক্ষাৎকারে মিলিত হন। এটি তার দ্বিতীয় সাক্ষাৎকার। এ সাক্ষাৎকারে তিনি ভারতে চলমান এনআরসি-সিএএ পরিস্থিতি, সর্বপ্লাবী আন্দোলন, হিন্দুত্ববাদ, সেকুলারিজমের এপিঠ-ওপিঠ ও উপমহাদেশের দেশগুলির  রাজনীতি চর্চার নানা দিক নিয়ে কথা বলেন। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন ইসলাম টাইমস সম্পাদক শরীফ মুহাম্মদ।

(বিশেষ কৃতজ্ঞতা: মাওলানা আনাস উদ্দিন. নিউইয়র্ক, মুফতি রূহুল আমীন. উত্তরা ঢাকা)

সাক্ষাৎকারের আরেকটি পর্ব ইতিপূর্বে প্রচারিত হয়েছে। এটি সাক্ষাতকারের দ্বিতীয় পর্ব।

ইসলাম টাইমস ডেস্ক:  ভারতে এনআরসি এবং সিএএ বিরোধী যে আন্দোলন চলছে এ বিষয়ে আপনার বেশ জানাশোনা। কিছু অনলাইন শো-ও আপনি করেছেন।এ বিষয়ের একটি সারকথা আমাদেরকে বলবেন কি?

ইয়াসির নাদীম : এর খোলাসা হলো, এক বিশেষ শ্রেণীর লোক হিন্দুত্ববাদী যেটাকে  ইংরেজিতে বলে ব্রাহমেনিকেল অর্ডার, সেটাকে সারা দেশের উপর চাপিয়ে দেওয়ার সবচেয়ে তেজি মাধ্যম হলো এনআরসি এবং সিএএ। এর ক্ষতি কেবল মুসলমানদের নয় বরং এর ক্ষতি দলিতদের উপরও পড়বে এবং অন্যান্য জাতি ও শ্রেণীর উপরও এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। খৃস্টানদের উপর পড়বে। তবে সাধারণভাবে মনে করা হয়, এর প্রভাব সর্বপ্রথম এবং সবচেয়ে বেশী পড়বে মুসলমানদের উপর।

আর তা এভাবে যে, এন আরসির মাধ্যমে আপনার নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়া হবে। শুধু আপনারই নয়, আপনার বাপ দাদার নাগরিকত্বের প্রমাণও চাওয়া হবে। এবং এ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে মুসলিমরাও নাগরিকত্ব হারাবেন এবং হিন্দুরাও নাগরিকত্ব হারাবেন। তবে এনআরসির মাধ্যমে যে সব অমুসলিমরা নাগরিকত্ব হারাবেন তাদেরকে সিএএর মাধ্যমে পুনরায় ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তার মানে হলো, এনআরসির মাধ্যমে হিন্দুদের কারো নাগরিকত্ব চলে গেলে সেটা বহাল করা হবে সিএএর মাধ্যমে। যে সুযোগটা মুসলমানরা পাবে না।

ইসলাম টাইমস ডেস্ক:  ভারতে বর্তমানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশিষে সবার সম্মিলিত আন্দোলনে কোনো আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন কি?

ইয়াসির নাদীম : জ্বি, ভবিষ্যতের আশার আলো হচ্ছে আজকের দিল্লীর নির্বাচনের ফল। যার মাধ্যমে এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে, শাহীনাবাগে যে আন্দোলন হচ্ছে, যাকে গোটা হিন্দুস্তানের একটি আইকনিক আন্দোলন হিসাবে দেখা হয়, সেই আন্দোলনের ফলাফলটাই এ নির্বাচনে প্রকাশ পেয়েছে। হিন্দুত্ববাদ এতে পরাজিত ও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

বর্তমানে ক্ষমতাসীন বিজেপি দাবি করেছিল, তারা এ শাহীনবাগের আন্দোলনকে মৃত বানিয়ে ফেলেছে। এবং লোকদেরকে শাহীনবাগের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছে। কিন্তু দেখা গেল, দিল্লীর লোকজন শাহীনবাগের পক্ষের লোকদেরকে ভোট দিল। অর্থাৎ আম আদমি পার্টিকে ভোট দিল। বিজেপির যে প্রপাগাণ্ডা ছিল সেটাকে তারা প্রত্যাখ্যান করেছে। বলা বাহুল্য, দিল্লিতে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের অধিকাংশই অমুসলিম। এর দ্বারা আপনি বুঝতে পারেন যে, এ বিষয়ে মুসলিম এবং অমুসলিমদের অধিকাংশ একমত। এবং হিন্দু মুসলিমদের এই একতা যদি বিদ্যমান থাকে তাহলে ভারতে এ হিন্দুত্ববাদ কখনো সামনে আসতে পারবে না।

ইসলাম টাইমস ডেস্ক:  বর্তমানে মোদি সরকার মুসলমানদের উপর যে নিপীড়ন চালাচ্ছে – উগ্র হিন্দুইজমের এসব জুলমের অবসান কবে হবে? কবে নুতন সূর্যের উদয় ঘটবে?

ইয়াসির নাদীম : দেখুন আপনি যে হিন্দুইজম শব্দ ব্যবহার করেছেন প্রথমে আপনার এ শব্দটি নিয়ে দুটি কথা বলি। তারা নিজেদের জন্যে হিন্দুইজম শব্দ ব্যবহার করে না। সত্যিকারের হিন্দুইজম এবং অন্যান্য ধর্ম খৃস্টবাদ ইত্যাদি সাধারণ ধর্মীয় মত থেকে তেমন কোনো আশঙ্কা হয় না। এসব বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয়। মূল সমস্যা হয় রাজনৈতিক মতবাদগুলো নিয়ে। তারা নিজেদের জন্যে যে শব্দ ব্যবহার করে তাহল হিন্দুত্ববাদ। হিন্দুত্ববাদ কোনো ধর্ম নয়, এটি একটি রাজনৈতিক চিন্তা দর্শন। তো সেই দর্শন যখন গোটা দেশের উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে তখন তো সেখান থেকে আশঙ্কা হবেই। কারণ সেই রাজনৈতিক দর্শন তো সাম্প্রদায়িক বিভাজনের উপর ভিত্তিশীল। সেখানে জাতপাতের ব্যবস্থা আছে। আপনি যদি বিশেষ কোনো সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হন তাহলে আপনি উচ্চস্তরের, আর বাকীরা নিম্মস্তরের। যাই হোক, আমি বলছিলাম, এক্ষেত্রে সঠিক শব্দ হচ্ছে হিন্দুত্ববাদ।

বাকি নুতন সূর্য দেখা যাবে কবে, সেটা তো সময়ই বলে দেবে। আমি একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে এটা বুঝি, ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ  হিন্দুত্ববাদের এই নযরিয়া ও দর্শনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। খোদ হিন্দুরাই এটা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা এটা চায় না যে, তাদের উপর এধরণের কোনো দর্শন চাপিয়ে দেওয়া হোক।

ইসলাম টাইমস ডেস্ক:  একটা প্রশ্ন বাংলাদেশেও চলছে, পাকিস্তানিও চলছে, হিন্দুস্তানেও চলছে। তা হল, যেই দেশে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ সেখানে আমরা ধর্মনিরপেক্ষতা চাই না। আর যে দেশে মুসলমানরা সংখ্যালঘু সেখানে আমরা ধর্মনিরপেক্ষ শাসন চাই। এই দুই পরিস্থিতিতে এই দুই অবস্থান নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেন। এই প্রশ্নের সমন্বয় ব সমাধান কী বলে আপনি মনে করেন?

ইয়াসির নাদীম : আমাদেরকে শুরু করতে হবে সেকুলারিজম কাকে বলে এখান থেকে। সেকুলারিজম বলতে বুঝায় যে, দেশ ধর্মীয় কোন বিষয়ে দখল দিবে না।  অর্থাৎ দেশের কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম হবে না। এটা সেক্যুলারিজমের একটি ব্যাপক সংজ্ঞা। কিন্তু আরেকটি সেকুলারিজম আছে যেটাকে বলা হয় মডার্ন ফ্রেঞ্চ সেকুলারিজম। ফ্রান্সের সেকুলারিজম, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে রাষ্ট্রের তো কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম থাকবেই না, সে সাথে রাষ্ট্র কোনো ধর্মের কোনো চিহ্নও প্রকাশ্যে সহ্য করবে না। এজন্যেই ফ্রান্সে হিজাব পরা নিষিদ্ধ।

ফ্রান্সের সেকুলারিজম- যেই দর্শনে ধর্মনিরপেক্ষতার উপরে মানুষকে চলতে বাধ্য করা হয় এই মতবাদ তো একবারই প্রত্যাখ্যাত। এটা মুসলমানরা কিছুতেই বরদাশত করতে পারে না। কিন্তু কোনো দেশের নির্দিষ্ট কোনো ধর্ম না থাকা – এটিও একটি মতবাদ। এটি কবুল করা জরুরি কিছু নয়।

তবে আপনি যেই প্রশ্নটি করেছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন।  আমরা কেন সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে ইসলামী শাসন চাই আর মুসলিম সংখ্যালঘু দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা চাই। আমি এর জবাবে বলব, আমরা মূলত চাই, মুসলিম-অমুসলিম সবাই সব রাষ্ট্রে ন্যায় বিচার পাক, সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকুক। এখন যেই মতবাদই নিজের জনগণকে ইনসাফ এবং সমতা দিবে, আমরা সেই মতবাদকে গ্রহণ করব। যদি কোনো অমুসলিম দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র অথবা খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলা হয় আর তারা মুসলমানদেরকে তাদের অধিকার যথাযথভাবে আদায় না করে, ন্যায় বিচার না করে, তাহলে মুসলমানরা স্বাভাবিকভাবেই বলবে, আপনারা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ চালু করুন। যার মাধ্যমে আমাদের অধিকার পাব।

পক্ষান্তরে মুসলিম দেশে আমরা ইসলামী আইন চাই। কারণ, আমরা জানি ইসলামী আইন অন্যের অধিকার আদায় করে থাকে । ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে। মুসলমানদের কাছে তো সেক্যুলারিজমের চেয়েও শ্রেষ্ঠ বিকল্প বিদ্যমান রয়েছে। সেটা হল ইসলাম। তাই তারা নিজেদের দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলে।

সাক্ষাৎকার: ড. মুফতি ইয়াসির নাদীম আল ওয়াজেদী

একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. মুফতি ইয়াসির নাদীম আল ওয়াজেদী ( ভিডিও): দিল্লি নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদ পরাজিত ও প্রত্যখ্যাত হয়েছে__________________________________ড. মুফতি ইয়াসির নাদীম আল ওয়াজেদী। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয় এক মেধাবী ইসলামী স্কলার। তারুণ্যদীপ্ত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। ইউটিউবে তার জনপ্রিয় টকশো- সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বহু দর্শক-শ্রোতাকে আকর্ষণ করে। ভারতের এক মশহুর ইলমি খান্দানের উত্তরসুরী এই অ্যাংকর ও আলোচক ইসলাম ও মুসলিম স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুক্তিপূর্ণ ভাষায় আলোকপাত করে থাকেন। ভারত, উপমহাদেশ ও বিশ্ব মুসলিমের বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি কথা বলেন।সম্প্রতি প্রথমবারের মতো এক সপ্তাহের এক দ্বীনী দাওয়াতি সফরে বাংলাদেশে আসেন। সফরের ব্যস্ত শিডিউলের এক ফাঁকে ইসলাম টাইমস -এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মিলিত হন। এ সাক্ষাৎকারে তিনি ভারতে চলমান এনআরসি ও সিএএ পরিস্থিতি, সর্বাত্মক আন্দোলন, সর্বস্তরের মানুষ কর্তৃক হিন্দুত্ববাদ প্রত্যাখ্যান, সেকুলারিজমের এপিঠ-ওপিঠ এবং উপমহাদেশের দেশগুলোর রাজনীতি চর্চা নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন ইসলাম টাইমস সম্পাদক শরীফ মুহাম্মদ।ক্যামেরা: আতীক আনোয়ার, ভিডিও সম্পাদনা: আবু দারদা[বিশেষ কৃতজ্ঞতা: মাওলানা আনাস উদ্দিন. নিউইয়র্ক, মুফতি রূহুল আমীন. উত্তরা ঢাকা]সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্বটি ১২ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত হয়েছে।

Posted by islamtimes24.com on Sunday, February 16, 2020

ইসলাম টাইমস ডেস্ক:  হিন্দুস্তানের পাশে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান। হিন্দুস্তান এর মুসলমানরা খুবই বিপদের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মুসলমানদের এবং তাদের রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আপনার কোনো পরামর্শ বা প্রত্যাশা?

ইয়াসির নাদিম : বাস্তবতা হচ্ছে এখানে বড় বড় কয়েকটি রাষ্ট্র রয়েছে- পাকিস্তান বাংলাদেশ ভারত। প্রত্যেকটির অবস্থা বিভিন্ন। নিজেদের অবস্থা অনুযায়ী সেই দেশের জনগণকেই চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা এখানে বসে এটা পরামর্শ দিতে পারি না যে পাকিস্তানের জনগণ কী করবে বা বাংলাদেশের লোকজন কী করবে অথবা ইন্ডিয়ার লোকজন কী করবে? বা অন্য কোন দেশের লোকজন কী করবে।  যখনই কোন দেশের নাগরিকরা অথবা কোন দেশের সরকার অন্য দেশের ভিতরের কোন বিষয়ে নাক গলায় বা দখল দেওয়ার চেষ্টা করে তখন সমস্যা শুরু হয়ে যায়। এইজন্য ভালো হচ্ছে অন্য দেশের কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা। সেখানে কি করা উচিত সেখানকার বাসিন্দারাই ঠিক করুক।

তবে একটা ব্যাপক কথা বলা যায়। তা হচ্ছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে প্রত্যেককেই তারা মাদ্রাসা-মসজিদ এর সাথে সম্পৃক্ত হোক বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে সকলকেই অন্য আরও অনেক মানুষের মতই  দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে। বরং অন্য সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত লোকদের চেয়ে এ ক্ষেত্রে আলেমদের ভূমিকা রাখতে হবে আরও বেশি। তারা দেশের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যে  লড়াই করবে। এক্ষেত্রে তারা কোনো ধরনের প্রান্তিকতার শিকার হবে না।  এক্ষেত্রে তারা প্রজ্ঞা ও হেকমতের  সাথে কাজ করবে।

উর্দূ থেকে ভাষান্তর : এনাম হাসান জুনাইদ

পূর্ববর্তি সংবাদবেগম জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি কোথায় আবেদন করেছে আমার জানা নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পরবর্তি সংবাদসিরাজগঞ্জে বাস খাদে পড়ে ৩ জনের মৃত্যু, আহত ২০