এমন কোনো আচরণবিধি নেই, যেগুলো সরকারপক্ষ ভঙ্গ করছে না: আমীর খসরু

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: আওয়ামী লীগ নির্বাচনী আচরণ মানছে না মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এমন কোনো আচরণবিধি নেই, যেগুলো সরকারপক্ষ ভঙ্গ করছে না। নির্বাচনে সরকারের এমপি, মন্ত্রীদের সংশ্লিষ্টতা একেবারে পরিষ্কার। এগুলো সাক্ষী প্রমাণের কোনো বিষয় না।

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘আচরণবিধিতে আছে ফুটপাতে কোনো অফিস করা যাবে না। ঢাকা শহরে কমপক্ষে হলেও শখানেক কার্যালয় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা করেছে ফুটপাতের ওপরে, রাস্তার ওপরে। এগুলো করার কোনো সুযোগ নেই। ইসির দায়িত্ব এগুলো ভেঙে দেওয়া। এরপর যদি আবার করে তো জরিমানা করা, তারপর আবার করা হলে তাঁদের প্রার্থিতা বাতিল করা। এর কোনো আইন মানা হচ্ছে না। প্রতিটি ফুটপাতে, মোড়ে নির্বাচনী কার্যক্রম চলছে, আইন ভাঙছে, মাইক বাজছে, লোকজন চেয়ার–টেবিল নিয়ে বসে আছে, কোনো জায়গায় তো রাস্তায় চলে আসছে। এর কোনো প্রতিকার দেখলাম না।’

আওয়ামী লীগ নেতা মামলা করেছেন, মেয়র প্রার্থী ইশরাকই তাদের ওপরে হামলা করেছেন—এমন অভিযোগের প্রশ্নে আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের মানুষ কি এমন বোকা যে বিএনপি আওয়ামী লীগের ওপর আক্রমণ করেছে তা বিশ্বাস করবে? দেশে যে পরিবেশ, অবস্থা, রাজনীতি চলছে, দখলদারি, খবরদারি চলছে, তাতে বিএনপি আওয়ামী লীগের ওপর হামলা করেছে, দেশের কোনো মানুষ কি তা বিশ্বাস করবে? বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।’

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, লেভেল প্লেয়িং কোথায় তাহলে? এভাবে যদি নির্বাচনের দিন পর্যন্ত চলে, এটা কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে পারে। মাইকিং করে যাচ্ছে, কোনো সময় নেই। গানবাজনা চলছে, কিছুই মানছে না। আইন না মানার যে প্রবৃত্তি, নির্বাচনের দিন তারা যে বেরিয়ে আসবে, তা ভাবার কারণ নেই। নির্বাচনের দিন এটা হঠাৎ পরিবর্তন হবে তা বিশ্বাস করার কারণ নেই।

নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে আমীর খসরু অভিযোগ করেন, পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে বহুবার বলা হয়েছে। ব্রতী, ডেমোক্রেসি ওয়াচ, ফেমার মতো পর্যবেক্ষকদের বাদ দেওয়া হয়েছে। যুগে যুগে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণে যাদের বিশ্বাসযোগ্যতা আছে, তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এই লিস্টে তারা আছে, যারা সন্ধ্যার সময় বলবে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

পূর্ববর্তি সংবাদট্রাম্পের আগ্রাসী ভূমিকায় ইরানের কাছে ক্ষমা চেয়ে ১০ হাজার মার্কিন নাগরিকের চিঠি প্রেরণ
পরবর্তি সংবাদচতুর্থ রাজ্য হিসেবে এবার পশ্চিমবঙ্গে পাস হল সিএএ বিরোধী বিল