ইউজিসি’র নির্দেশনা অমান্য করে রাবি’তে বাণিজ্যিক কোর্স চালু

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাণিজ্যিক কোর্স চালুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগে প্রথমবারের মতো সান্ধ্যকোর্সের নামে বাণিজ্যিক কোর্স চালু করা হচ্ছে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এসংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

ইউজিসির পরামর্শ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সমালোচনা সত্ত্বেও নতুন করে সান্ধ্যকোর্স চালু করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ্য শিক্ষক। তারা মনে করেন, নতুন করে বাণিজ্যিক কোর্স চালুর সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির বক্তব্য ও ইউজিসির পরামর্শের উপেক্ষার নিদর্শন।

তবে বিভাগটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নতুন এই কোর্স চালুর সঙ্গে ইউজিসির পরামর্শ ও রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের কোনো সম্পর্ক নেই।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সান্ধ্যকালীন ইংরেজি ভাষা শিক্ষা ও ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স কোর্সের জন্য ভর্তি আহ্বান করা হয়।

উল্লেখ্য, সান্ধ্যকোর্স নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সমালোচনার মুখে গতবছরের ১১ ডিসেম্বর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সব ধরনের বাণিজ্যিক কোর্স বন্ধ করাসহ ১৩টি পরমর্শ দেয় ইউজিসি।

যার পরিপ্রেক্ষিতে রাবি’র বিভিন্ন বিভাগে চলমান সান্ধ্যকোর্সের যৌক্তিকতা যাচাইয়ের জন্য রাবি কর্তৃপক্ষ ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সান্ধ্যকোর্সের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা।

তবে প্রায় একমাস সময় পেরিয়ে গেলেও উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে কমিটি।

এদিকে, ইউজিসি’র পরার্মশ ও রাষ্ট্রপতির সমালোচনাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কড়া সতর্কবার্তা হিসেবে দেখছেন রাবির কয়েকজন সিনিয়র অধ্যাপক।

তারা বলছেন, রাষ্ট্রপতির বক্তব্য আমাদের বিবেকবোধে নাড়া দিয়েছে। সান্ধ্যকোর্সের নামে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করা উচিৎ। এমতাবস্থায় নতুন করে সান্ধ্যকোর্স চালু রাষ্ট্রপতির বক্তব্যকে অসম্মান করা হচ্ছে বলেও মনে করছেন তারা।

তবে ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলছেন, “একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই কোর্স চালু করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী এটি একাডেমিক কাউন্সিল থেকে পাশ করা হয়েছে। গতবছরই চালু করার কথা ছিল, কিন্তু শিক্ষকরা প্রস্তুত না থাকায় শুরু করা যায়নি। তাই এবার চালু করা হচ্ছে।”

কোর্স চালু করার সঙ্গে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও ইউজিসি’র পরামর্শের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন ইংরেজি বিভাগের সভাপতি।

পূর্ববর্তি সংবাদবাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে ভারতে মুসলিম বস্তি গুঁড়িয়ে দিলো পুলিশ
পরবর্তি সংবাদসিটি নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম দেখতে চাই না: সিইসি