ঢাকাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ৫২ প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে কাজ করব: ইশরাক

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: মেয়র নির্বাচিত হলে ঢাকাকে নিরাপদ বাসযোগ্য ও সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করব। এজন্য শুধুমাত্র সরকারের সদিচ্ছা প্রয়োজন।’

নির্বাচনী প্রচারণার ১০ম দিন আজ রোববার আজমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গণসংযোগ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে বিবেচনায় নিয়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনকে সাধুবাদ জানান অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের সময়ই কমিশনের উচিত ছিল হিন্দু ধর্মালম্বীদের পূজার বিষয়টা বিবেচনা করা। তাহলে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনজনিত কারণে পরীক্ষার্থীদের বিপাকে পড়তে হতো না।’

সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করে আজিমপুর মোড় থেকে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টার, আজিমপুর কবরস্থান হয়ে ২৪ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করছেন ইশরাক হোসেন। সে সময় তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি মনোনীত মেয়র ও সমর্থিত কাউন্সিলরদের পোস্টার লাগাতে বাধা দেওয়া ও ছেঁড়া হচ্ছে প্রতিদিন। বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ও থানা-পুলিশকে অবহিত করা হলেও কোনো প্রতিকার মিলছে না।

রোববার সকালে শান্তিনগর মোড় এলাকায় ও হাবিবুল্লাহ কলেজের সামনে ইশরাক হোসেন ও কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম- এর ছেঁড়া পোস্টারের স্তুপ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পোস্টার ছেঁড়া ছোটলোকি কাজ। পোস্টার ছেঁড়ার মাধ্যমে আমাদেরকে জনগণের মন থেকে মুছে ফেলতে পারবে না। বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এই নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের যা যা করণীয় তাই করবো।’

দৃঢ়তার সঙ্গে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘জনগণ ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। যদি নির্বাচন কমিশন ন্যুনতম সুষ্ঠু ভোট দিতে সক্ষম হয় তবে আমাদের বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিরোধী দলের প্রার্থীর পোস্টার ছেঁড়া ও তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন। এ বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনকে বারবার অবহিত করলেও তারা এর কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। আমি আশা করবো, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন এসব বিষয় খুব দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

পূর্ববর্তি সংবাদশিশু ধর্ষণের শাস্তি কেন মৃত্যুদণ্ড নয়: হাইকোর্ট
পরবর্তি সংবাদএবার হজ্বের বিমান ভাড়া লাগবে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা