কাদিয়ানী ফেতনা : “ভেজাল ধর্মের কবল থেকে জনগণকে বাঁচানো রাষ্ট্রের দায়িত্ব”

এনাম হাসান জুনাইদ।।

কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা দেশের সাধারণ মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন। কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণার আগ পর্যন্ত দেশের সাধারণ মানুষকে কীভাবে তাদের প্রতারণা থেকে বাঁচানো যায় এ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম বাড্ডার মিফতাহুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবদুল মাজিদকে।

জবাবে মাওলানা আবদুল মাজিদ বলেন, এক্ষেত্রে আমদের প্রথম করণীয় হচ্ছে, প্রত্যেক মসজিদের ইমাম ও খতীবদেরকে মাসে অন্তত একটি জুমা কাদিয়ানী ফিতনা বিষয়ক আলোচনার জন্যে নির্ধারণ করা, যাতে জনসাধারণের  মাঝে কাদিয়ানীদের কাফের হওয়ার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়।

দ্বিতীয় করণীয় হচ্ছে, প্রশাসনের উপর থেকে নীচ সকলকে কাদিয়ানীদের কর্মকাণ্ডগুলো তুলে ধরে এ কথা বুঝানো যে, কাদিয়ানীরা শুধু  দ্বীনের শত্রুই নয়, দেশেরও শত্রু।

মাওলানা আবদুল মাজিদ আরও বলেন, তৃতীয় করণীয় হচ্ছে, যে সকল ভাই অনলাইনের সাথে যুক্ত আছেন, তাদের উচিত ফেইসবুক ইউটিউব সহ যত ধরণের মাধ্যম হতে পারে সব ধরণের মাধ্যম ব্যবহার করে কাদিয়ানীদের ভয়াবহতা সম্পর্কে সাধারণ মুসলমানকে সচেতন করা।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সনে হাইকোর্টের একটি রায়ে বলা হয়েছে, মুসলিম সমাজে হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর কোনো নবী আসবেন এ ধরণের বিশ্বাস  একটি সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী বিশ্বাস। এবং সেই রায়ের ভিত্তিতে কাদিয়ানীদের সকল বইপত্র নিষিদ্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞমহল।

কাদিয়ানীদের ফেতনা মোকাবেলার জন্যে আলেমদেরকে ইলমীভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন মাওলানা আবদুল মাজিদ।  অনলাইনে কাদিয়ানীদের কর্মকাণ্ডগুলো (https://www.alislam.org/) দেখলেও বোঝা যায়, তাদের ফেতনা কত ভয়াবহ। সুতরাং আলেমদের উচিত, কাদিয়ানী ফেতনা সম্পর্কে পড়াশোনা করে নিজেদেরকে তাদের মোকাবেলায় পেশ করা। উম্মাহকে কাদিয়ানীদের ফেতনা থেকে রক্ষা করা- যোগ করেন এই আলেম।

পূর্ববর্তি সংবাদডিপজল এন্টারপ্রাইজের বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ, অ্যাম্বুলেন্সের দুইযাত্রী নিহত
পরবর্তি সংবাদমিয়ানমারে গণহত্যা : আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় ২৩ জানুয়ারি