ইজতেমার মাঠে পানি: ঘটনার সূত্রপাত ও বর্তমান পরিস্থিতি

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: গতকাল মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হল আলমী শূরার সাথীদের ৫৫ তম বিশ্ব ইজতেমা। তবে ইজতেমা চলাকালীনই টঙ্গীর মাঠে ঘটেছে একটি দুর্ঘটনা। পানি নিস্কাশনের ড্রেন উপচে পানি বেরিয়ে আসছিল ময়দানের দিকে। দুর্ঘটনার আকার প্রথমে সামান্য থাকলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে এটি ভয়াবহ রূপ নিতে থাকে। তবে ইজতেমা শেষ হয়ে যাওয়ায় কারো তেমন বিপদে পড়তে হয়নি।

ঘটনার বিস্তারিত জানতে ইসলাম টাইমসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় প্রত্যক্ষদর্শী মাওলানা আবদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি প্রথমদিকে বাধ দিয়ে পানি আটকানোর কাজে শরিক ছিলেন।

মাওলানা আবদুর রহমান জানান, ঘটনার সূত্রপাত ইজতেমার দ্বিতীয় দিন তথা শনিবার রাতে মাঠের উত্তর পার্শে উলামাদের কামরার দিকে। ব্যবহৃত পানির ড্রেনে ময়লার বস্তা পড়ে যাওয়ায় পানির স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত হয়। ড্রেনের একটি বাকে ময়লা আস্তে আস্তে জমতে থাকলে ড্রেন উপচে একটু একটু করে পানি বাইরে বেরিয়ে আসতে থাকে। প্রথমদিকে মাটি দিয়ে বাধ দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করেন লোকজন।

এরসাথে যোগ করে টঙ্গী মারকাযের জিম্মাদার সাথী মোস্তফা ইসলাম বলেন, কিছুক্ষণ পর প্রশাসনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এসে চেষ্টা করতে থাকে ময়লা সরিয়ে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক করতে। তবে ময়লার পরিমাণ বেশি হওয়ায় এবং পানির প্রবাহ জারি থাকায় সহজে তা সরানো সম্ভব হচ্ছিল না। তবে মাঠে ঢুকে যাওয়া পানি এ সময় চারটি মেশিন লাগিয়ে শুকিয়ে ফেলা হয়।

মাওলানা আবদুর রহমান জানান, মোনাজাতের দিন মুসল্লিদের চাপ বেশি হওয়ায় ড্রেন দিয়ে অনেক পানি আসতে থাকে। পানি আস্তে আস্তে মাঠের ভিতরে ঢুকতে থাকে। মাটি দিয়ে দেওয়া বাধ উপচে পানি মাঠের আরও ভিতরে ছুটতে থাকে। এসময় বিপাকে পড়েন সে এলাকায় থাকা মুসল্লিরা। তারা দ্রুত সামানা গুছিয়ে অন্যদিকে সরে আসতে থাকেন।

তবে মোনাজাত শেষ হলে লোকজন আস্তে আস্তে চলে যাওয়ায় বড় ধরনের কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি বলে জানান তিনি।

বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চেয়ে টঙ্গীর একজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, পানি মাঠের উল্লেখযোগ্য একটা অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। কোথাও কোমর সমান পানি জমে গেছে। কোথাও হাঁটু সমান। ড্রেনের ময়লা পরিস্কার করা হলেও মাঠ শুকাতে সময় লাগবে কয়েকদিন।

টঙ্গী মারকাযের জিম্মাদার সাথী মোস্তফা ইসলাম জানান, ঘটনার শুরু থেকেই প্রশাসনের লোকেরা এ ব্যাপারে অবগত। মুসল্লিদের পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও শুরু থেকেই পানি শুকানো এবং ড্রেন পরিস্কারের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন মেশিনের মাধ্যমে পানি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে মাঠ শুকাতে কয়েকদিন সময় লেগে যাবে।

পূর্ববর্তি সংবাদমানিকগঞ্জে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৩ কোটি টাকার ক্ষতি
পরবর্তি সংবাদআমরা প্রস্তুত, এবার হামলা হলে কঠোর জবাব দেয়া হবে: ইশরাক