বাদ মাগরিব বয়ান : আল্লাহ আমাদের দ্বীন দিয়েছেন দ্বীনের জিম্মাদারিও দিয়েছেন

ইবরাহিম দেওলা ।।

দুনিয়াকে আল্লাহ তায়ালা বিভিন্নরকমের হালাত হিসেবে বানিয়েছেন। কখনো সুস্থতা৷ কখনো অসুস্থতা। কখনো পেরেশানি। কখনো সুখ৷ এই অবস্থাগুলো আল্লাহর নেজাম৷ আল্লাহর নিয়ম৷ যেকোন হালতের হুকুম আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। মুমিন যে অবস্থাতেই থাকুক সে অবস্থায়ই তার দ্বীনকে পূর্ণ করে৷ যারা দ্বীনকে পূর্ণ করে তারা সফলকাম হয়ে যায়। মানুষের কাছে সবকিছুর ইলম নাই। কিন্তু আল্লাহর কাছে সব জিনিসের ইলম আছে৷ কখন কোন অবস্থা বান্দার জন্য কল্যাণকর হবে সে জ্ঞান আল্লাহর কাছে আছে। সে হিসেবেই তিনি বান্দাকে কখনো ভালো কখনো খারাপ অবস্থায় পতিত করেন৷ আল্লাহ সবকিছু বান্দার ভালোর জন্যই করে থাকেন৷ বান্দার ইলম না থাকার কারণে এমন জিনিস চেয়ে বসে যা তার জন্য খারাপ হবে। কিন্তু সে নিজের জন্য ভালো মনে করে৷ কিন্তু আল্লাহ আমাদের চাওয়াকে প্রাধান্য না দিয়ে যা বান্দার জন্য ভালো হবে তাই ফায়সালা করে দেন৷

আরও পড়ুন: ইলম অর্জনের একটি বড় মাকসাদ হল অন্যকে পৌঁছানো: আলেমদের বয়ানে মাওলানা ইবরাহিম দেওলা

আল্লাহ ভালো ও খারাপ এই দুই অবস্থায় বান্দাকে পরীক্ষা করে থাকেন৷ যে তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় সে কামিয়াব হয়ে যায়। একবার রাসূল সা.-এর খুশির মুহূর্ত আসায় তিনি স্বাভাবিক নিয়মের চেয়ে আমল আরও বাড়িয়ে দিলেন। সাহাবায়ে কেরাম এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, আমি কি আল্লাহর শোকরগুজার বান্দা হবো না? বুঝা গেলো, সুখের সংবাদে রাসূল সা. আল্লাহর শোকর আদায়ের জন্য আমল বাড়িয়ে দিতেন৷

দ্বীন আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা হক রাস্তা৷ আল্লাহ নবীদের এই রাস্তার জন্যই পাঠিয়েছেন৷ হযরত ইউসুফ রহ. বলতেন, হকের শুরু হয় অপছন্দনীয় জিনিসের মাধ্যমে। হক প্রচারের শুরুতে বিভিন্ন বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়৷ এটাকে যখন সে অতিক্রম করে যাবে তখন তার জন্য কামিয়াব হয়ে যাবে৷ যে কাজ পছন্দনীয় জিনিস দ্বারা শুরু হবে তার পরিসমাপ্তি হয় অপছন্দনীয় জিনিস দ্বারা৷ আল্লাহর নিয়ম হলো কষ্টের সঙ্গে আসানী৷ আল্লাহ যখন দ্বীন দিয়েছেন তখন তার জিম্মাদারি ও আমাদের দিয়েছেন৷ যে পরিমাণে দ্বীনের দায়িত্ব ও মেহনত আমরা মাথায় নিবো সে পরিমাণে মানুষ ভুল ভাঙ্গবে এবং পরিশুদ্ধ হবে। দুনিয়াতে দ্বীন জিন্দা হবে তো আমাদের পেরেশানি দূর হবে৷

ভাষান্তর।।  আবু দারদা

পূর্ববর্তি সংবাদভোটের দিন হিন্দুদের স্বরস্বতী পূজা থাকায় সিটি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবি ডাকসুর
পরবর্তি সংবাদএবার বাংলাদেশি ‍কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করল বিএসএফ