ইসলাম টাইমস ডেস্ক: নবী-রাসূল সাহাবাদের পর দুনিয়াতে সবচেয়ে সম্মানিত মানুষ হলেন আলেমগণ। আলেমদের মর্যাদার ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, والذين أوتو العلم درجات অর্থাৎ আলেমদেরকে প্রভূত কল্যাণ দান করা হয়েছে। রাসূল সা. হাদিসে আলেমদেরকে নবীদের ওয়ারিস আখ্যা দিয়েছেন।
ইলমের নানা রকম প্রকারভেদের মধ্যে আলেমগণ এমনও একটি প্রকারভেদ করেন যে, ইলম দুই প্রকার। ১. ফাযায়েলে ইলম। ২. মাসায়েলে ইলম।
ফাযায়েলে ইলম হলো, শরিয়ত কর্তৃক আদিষ্ট বিষয়াদি পালনের ফজিলত এবং লাভ এবং নিষিদ্ধ বিষয়াদির ক্ষতি এবং শাস্তি সম্পর্কে জানা। আর মাসায়েলে ইলম হলো, কোনো মাসআলার হুকুম তথা ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল সম্পর্কে জানা।
দাওয়াত দেওয়ার ক্ষেত্রে ইলমের এই ভাগটির গুরুত্ব পুরোপুরি বুঝা যায়। কারণ কাউকে কোনো আমলের দাওয়াত দিতে গেলে তাকে সে কাজের হুকুম এবং ফজিলত সম্পর্কে ভালভাবে বুঝানোর প্রয়োজন পড়ে।
ইলম অর্জনের একটি বড় মাকসাদ হল অন্যকে পৌঁছানো। এ ব্যাপারে রাসূল সা.-এর একাধিক হাদিস রয়েছে। আমাদের উলামায়ে কেরাম এ দায়িত্বটি দায়িত্বের সাথে আঞ্জাম দিতে চেষ্টা করেন। ফারাগাতের পর প্রায় সবাই তালিমে নিযুক্ত হন। দরস তাদরিস তাবলিগে দ্বীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তবে দ্বীনের তলবহীনদের কাছে দ্বীন পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বও উলামায়ে কেরামের। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের উলামায়ে কেরাম তাদের সে দায়িত্বের ব্যাপারেও সচেতন।
তবে দিন দিন নানা ফেতনা ও বিভেদ যেভাবে বাড়ছে তাতে উলামায়ে কেরামের আরও দায়িত্বশীলতার সাথে এ কাজ আঞ্জাম দেয়া উচিত। মাদরাসায় মাদরাসায় অর্জিত ইলম সাধারণ পর্যায়ে প্রচারের ফেযা কায়েম করা উচিত।
ভাষান্তর করেছেন: তারিক মুজিব