ভারতের প্রধানমন্ত্রীও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়: সেতুমন্ত্রী

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণায় সরকার দলীয় কেউ অংশ নিলে কেন আইন লঙ্ঘন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরা ও কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীও প্রচারণায় অংশ নেয়। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেয়। সেখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কোনো প্রশ্ন উঠছে না, আইন লঙ্ঘন হয় না। বাংলাদেশে কেন লঙ্ঘন হবে? সে প্রশ্নের জবাব আমরা আজও খুঁজে পাইনি।’

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর এলেনবাড়িতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক ভবনের আধুনিকরণ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের বিবেকের কাছেই প্রশ্ন রাখছি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কাকে বলে? আজকে বিএনপি মহাসচিব প্রকাশ্যে জনসভা করতে পারবেন, নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবেন, গণসংযোগ করতে পারবেন। অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেটা করতে পারবেন না।

আজকে মওদুদ আহমেদ সাহেব, খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেব প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন, কিন্তু আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ তারা এমপি, সে কারণে তারা পারবেন না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘সেটা কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলো? আমি এটা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই। এটা কেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড? এখানে ফিল্ডে মির্জা ফখরুল আছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেই। এই বিষয়টার আমি কোনো সুরাহা খুঁজে পাচ্ছি না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আচরণবিধি যেহেতু হয়েই গেছে, এটা নিয়ে প্রশ্ন আছে বিতর্ক আছে, যেটা আমি বললাম। তারপরও যেটা হয়ে গেছে সেটা মানতে হবে। এখানে মন্ত্রী-এমপিদের বিধি-নিষেধ আছে, যেহেতু আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে, তাহলে দলীয়ভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের আমরা নির্দেশ দিয়েছি।’

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘মন্ত্রী-এমপিদের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, কোনোভাবে যেন আচরণবিধি লঙ্ঘন করা না হয়।’

পূর্ববর্তি সংবাদস্বাধীন দেশে স্বৈরাচার থাকার কোনো অধিকার নেই: ড. কামাল
পরবর্তি সংবাদসবচেয়ে বড় রূহানী নেয়ামত হল ঈমান : মাওলানা উবাইদুল্লাহ খুরশীদ