মুফতী কেফায়াতুল্লাহ রাহ. : লক্ষ কোটি শিশুর হাতে খড়ি হয় যার কিতাব দিয়ে

সাইফ নূর ।।

পাক ভারত উপমহাদেশে প্রায় সকল মাদরাসায় ধর্মীয় শিক্ষার হাতে খড়ি হয় তালীমুল ইসলাম কিতাব দিয়ে। কিতাব রচয়িতা মুফতিয়ে আজম কেফায়াতু্ল্লাহ দেহলভী রহ.।

হযরত মাওলানা মুফতী কেফায়াতুল্লাহ দেহলবী রাহ. বিগত শতাব্দীর অন্যতম বরেণ্য আলেমে দ্বীন। একাধারে তিনি ছিলেন আলেম, ফকীহ, মুহাদ্দিস, কবি, সাহিত্যিক, প্রবন্ধকার, মুত্তাকী-পরহেযগার, আত্মসম্মান ও ব্যক্তিত্ববোধ-সম্পন্ন, মুজাহিদ, অতুল মেধা ও মনীষার অধিকারী এবং সমকালীন আকাবির-আসাতিযার একান্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি।

জন্ম ভারতের শাহজাহানপুর ১২৯২হি. / ১৮৭৫ঈ.। শিক্ষাজীবনের সূচনা মাদরাসা ই’যাযিয়া শাহজাহানপুর এবং মাদরাসা শাহী মুরাদাবাদ। এরপর ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায় পড়াশুনা। ১৩১৩ হিজরীতে দারুল উলুম থেকে শিক্ষা সমাপ্তি।

কর্মজীবন মাদরাসা আইনুল ইলম শাহজাহানপুর এবং মাদরাসা আমীনিয়া দিল্লি। তাঁর লিখিত ফতোয়ার সমগ্র ৬খ-ের ‘কিফায়াতুল মুফতী’ মুফতীগণের নিত্য সহায়ক গ্রন্থ। তাঁকে ‘মুফতীয়ে আযম’ উপাধিতে স্মরণ করা হয়। মুসলিম শিশুদের জন্য তাঁর রচিত ‘তা’লীমুল ইসলাম’ কিতাবখানি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ বিশ্বের অসংখ্য দেশের মাদারিসে পাঠ্য-তালিকাভুক্ত।

১৩৫৫ হিজরী থেকে হযরত আজীবন দারুল উলুম দেওবন্দের মজলিসে শুরার রোকন ছিলেন। শাইখুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী রহ.-এর আদর্শ অনুসরণে শুরু থেকেই তিনি রাজনীতির অঙ্গনে সক্রিয় ছিলেন। ১৯১৯ সালে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ প্রতিষ্ঠা করে দীর্ঘকাল এর সভাপতিত্ব করেন। ইংরেজ আমলে একাধিকবার কারাবরণও করেছেন। ভারতীয় মুসলমানদের ক্রান্তিলগ্নে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। ইন্তেকাল- ১৩ রবিউস সানী ১৩৭২হি. মোতাবেক ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫২ঈ.। আল্লাহ তাআলা এ মহান মনীষীর দারাজাত বুলন্দ করুন। আমাদেরকে তাঁর ফুয়ূয ও বারাকাত নসীব করুন।

[সূত্র: তারীখে দারুল উলুম দেওবন্দ: ২/৮০-৮২]

পূর্ববর্তি সংবাদট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাননি কিশোরী গ্রেটা থানবার্গ
পরবর্তি সংবাদযেভাবে জেএসসি ও সমমানের ফল জানবেন