শীতার্ত গরিবের পাশে যার যতটুকু সামর্থ আছে, দাঁড়িয়ে যাই

শরীফ মুহাম্মদ ।।

দু’দিন ধরে শীত পড়েছে বেশি। কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা নেমে গেছে ১০ ডিগ্রির নিচে। যন্ত্র ও উত্তাপের শহর রাজধানী ঢাকাতেও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনাজপুর-পঞ্চগড়সহ সীমান্ত এলাকাগুলোতে হাড় কাঁপানো শীত। এ শীতে বেশি কষ্ট হচ্ছে প্রান্তিক গরিব মানুষের। শহর কিংবা গ্রামে যাদের বাড়িঘরে শীত থেকে বাঁচার পর্যাপ্ত আয়োজন নেই তারা খুব কষ্ট পাচ্ছেন।শহরে বসে এটা আমরা টের পাচ্ছি না। বহু গরিব মানুষের গায়ে শীতের কাপড় নেই। সোয়েটার, মোজা, মাফলার, কম্বল নেই।

আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, এবারের মতো এ শীত আরো দু-একদিন থাকতে পারে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে আবার নামতে পারে তীব্র শীত। এ ছাড়া জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসও শীতের মৌসুম। ওই দুই মাসেরও বিভিন্ন সময় তীব্র শীত আসতে পারে দেশে। এখন থেকেই তাই গরিব মানুষদের পাশে শীতের পোশাক নিয়ে দাঁড়ানো শুরু করা দরকার। হাড় কাঁপানো শীতের কষ্টে একটা কম্বল, একটা শীতের পোশাক কিংবা নুন্যতম একজোড়া মোজা বহু মানুষের জন্য আরামের কারণ হতে পারে। সমাজের প্রতিটি মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ এ সময়টিতে একটি-দুটি শীতের পোশাক নিয়ে পাশের একজন-দুজন গরিব মানুষের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।

অনেক সময় আমরা বড় আয়োজন ও বিত্তবানদের পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে থাকি। মনে করি, আমি একা বা আমরা কজন মিলে কয়জনের উপকার করতে পারব? এরকম হতাশাকর মনোভাব থেকে নিজের সামর্থের মধ্যের সহযোগিতাটুকু করা থেকেও বিরত থাকি। অথচ এককোটি নিম্ন সামর্থের মানুষও যদি একটি করে নতুন কিংবা বাসায় থাকা শীতের পুরনো একটি পোশাক একজন গরিব মানুষের হাতে তুলে দিই, তাহলে অনেক মানুষের কষ্ট লাঘব হতে পারে।

শীতার্ত মানুষের জন্য বড় আয়োজন দরকার, রাষ্ট্রেরও পদক্ষেপ দরকার। কিন্তু দেশের প্রত্যেক সক্ষম-আধা সক্ষম মানুষও যদি শীতার্ত মানুষের দিকে একটি কদম করে এগিয়ে যাই- তাহলেও তো কল্যাণ ও সহযোগিতার অনেক বড় পথ খুলে যায়। দান-সদকা ও অন্য ভাইদের প্রয়োজন পূরণের জন্য অনেক সওয়াব, ঘোষিত হয়েছে অনেক সুসংবাদ। এই তীব্র শীতে আমরা প্রত্যেকেই সে সুযোগ ও ডাকে সাড়া দিতে পারি। সময়ের প্রয়োজন ও ডাকের মূল্য কিন্তু অনেক বড়।

 

পূর্ববর্তি সংবাদআওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিতে আসা এক ব্যক্তি পিস্তলসহ আটক
পরবর্তি সংবাদআওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিল উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বিএনপি