ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে এক কলেজের শিক্ষার্থীকে পেটালেন আরেক কলেজের শিক্ষক

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : শিক্ষা যদি হয় জাতির মেরুদণ্ড তাহলে নি:সন্দেহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্রশ্ন হল জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো কি তাদের গুরুত্ব ধরে রাখতে পারছে?

গতকাল তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে কক্ষে আটকে রেখে বেধড়ক পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ঢাকা সিটি কলেজের এক সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এ সময় ওই শিক্ষক নিজে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন ঢাকা কলেজের ছাত্রকে, পরে তাকে উদ্ধার করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষকরা।

শনিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত ঘটে বেলা সাড়ে ১১টায়। পূর্বে সংঘটিত ঘটনার জেরে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সিটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এরপর ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা পাল্টা প্রতিহত করার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষই সংঘর্ষে জড়ায় এবং উভয়পক্ষের প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।

এ ঘটনা জানার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদ কলেজের নিবিড় পরিচর্যা কমিটির সদস্যদের ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেন। অধ্যক্ষের নির্দেশের পর নিবিড় পরিচর্যা কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ার মাহমুদ, সহকারী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, প্রভাষক শামিম আহমেদ, প্রভাষক মাহমুদুল হাসান সবুজসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।

ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঢাকা কলেজের স্নাতক শ্রেণির শামীম পারভেজ সুমন এবং মোহাম্মদ আলী নামের দুই শিক্ষার্থী শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ করলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাদের ওপরও চড়াও হয়। এ সময় সিটি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আহসান হাবিব রাজা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলীকে ধরে নিয়ে সিটি কলেজের মূল ভবনের উপাধ্যক্ষের কার্যালয়ের পাশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আটকে রেখে মারধর এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনার পরপরই নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াসিন, ধানমণ্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশফাক, পূর্ব ধানমণ্ডি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাহেব আলীসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

নিউমার্কেট থানার ওসি এসএম কাইয়ুম বলেন, যে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তি সংবাদরাগের মাথায় দুই ঘণ্টায় ১২৩ বার টুইট করলেন ট্রাম্প
পরবর্তি সংবাদমায়ের কোলে মনীষীদের বেড়ে ওঠা