এক সিরিয় মায়ের সংগ্রামের গল্প

তারিক মুজিব ।।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়া। প্রতিদিন অস্ত্রের ঝনঝনানিতে ঘুম ভাঙ্গে সিরিয়ান শিশুদের। ক্লান্তিকর দিনের শেষে মায়েরা আতঙ্ক নিয়ে ঘুমুতে যান- সকালে জীবিত দেখবেন তো তার মানিককে! প্রতিটি সিরিয়ান বাবা এই আশঙ্কায় সময় অতিক্রম করেন- উপার্জনের টাকাটা দিয়ে মাস শেষে সন্তানকে কিছু কিনে দিতে পারবেন তো!

সিরিয়ার অর্থনীতির শোচনীয় অবস্থা। খেলতে খেলতে ক্ষুধা লাগলে খাবারের জন্য ঘরে ফেরার আগেই বন্ধুর মৃত্যু হতে দেখে শিশুদের ক্ষুধা মিটে যায়। এতে অবশ্য পরিবার কর্তা সুখ-ই পান বটে। কিছু খাবার তো বেঁচে গেল। শাহানশাহের বেশে যাদের দিন গুজরান হত এখন ক্যাম্পে তাদের কাটে মানবেতর জীবন।

তবে আজকের গল্পটা আনন্দের। গল্পের ছবিটা দেখেই একটি সুখানুভূতি পাঠকের হৃদয়ে দোলা দেওয়ার কথা।

সন্তানের বাবা বেঁচে আছেন কি না জানা নেই। ছেলেদের ছোটখাটো আবদার মেঠাতে মা কর্মব্যস্ত। স্কুলের টিফিনের সময় ছেলেটাকে কিছু খেতে তো দিতে হয়। পাঁচ ঘন্টার স্কুল। কত কষ্ট হবে তার। তাই মা বসে গেছেন কাজে। প্লাস্টিকের পাতলা পাত দিয়ে তৈরি করছেন আকর্ষণীয় নানা সামগ্রী। কিছু সখের বস্তু। কিছু দরকারি।

হাটে বিক্রি করে খুচরো যে পয়সাগুলো হাতে আসবে তা দিয়ে ছেলের স্কুলের টিফিন কিনে দেবেন। মেয়েকে দিবেন মাথার চুল বাঁধার ফিতা। বাকী কিছু থাকলে তা দিয়ে টেনেটুনে চালিয়ে নিবেন সংসার।

আল জাজিরা অবলম্বনে

পূর্ববর্তি সংবাদআবরারের বাবা আইনমন্ত্রীকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অনুরোধ জানান
পরবর্তি সংবাদআবরার হত্যা: বুয়েটের ২৬ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার