ইলমে ওহির আলো নিয়েই তাবলিগ করতে হবে : রাজশাহী মারকাজে মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাজশাহী মারকাজ মসজিদে আলোচনা করেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত হাদীস বিশারদ, মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া ঢাকা’র আমীনুত তালীম মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মালেক।

বয়ানে মাওলানা আবদুল মালেক বলেন,  আল্লাহর মেহেরবানী ছাড়া কোনো নেক আমল সম্ভব নয়। কোন গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার উপায় নেই। এতএব গোনাহ থেকে  বাঁচতে হলে আল্লাহর মেহেরবানি অত্যন্ত জরুরী।  ‍

বুযুর্গানে দ্বীনের উদ্ধৃতি ‍দিয়ে তিনি বলেন, ছয়টি বিষয় এমন যদি কেউ এই বিষয়গুলোর উপর মেহনত করে তাহলে আল্লাহ তা’য়ালা তার জন্য  দ্বীনের অন্যান্য বিষয়ের উপর মেহনত করা সহজ করে দেন।

ছয়টি বিষয় হল (১) কালিমা  (২)নামাজ  (৩) ইলেম ও যিকির  (৪)একরামুল মুসলিমীন  (৫)সহীহ নিয়ত (৬)দাওয়াত ও তাবলিগ।

প্রথমটি হলো, লা-ইলাহ ইল্লাল্লাহ বা কালিমা।  অর্থাৎ ঈমান ও আকিদা।  ইসলামে আকীদার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অথচ আজকে আকিদার বিষয়টি আমাদের কাছে সস্তা হয়ে গেছে। যদি কারো আকিদার মধ্যে বক্রতা এসে যায়, কেউ যদি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত থেকে দূরে সরে যায়, তাহলে আমরা এটাকে হালকাভাবে দেখছি। এটাকে কোন বিষয়ই মনে করি না। অথচ এটা অনেক মারাত্নক একটা বিষয়।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি কালিমার অর্থ হলো ‘আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই’ শুধু এতটুকুই। অথচ এর অর্থ ও মর্ম শুধু এতটু্কুই নয়। বরং আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই, কোন রিযিকদাতা নাই, সন্তানদাতা নাই, তিনি ছাড়া ইবাদত পাওয়ার যোগ্য কেউ নাই ইত্যাদি-এই সবগুলোই কালিমার মর্ম।

কালিমার ব্যখ্যা করতে গিয়ে এই হাদীস বিশারদ বলেন, কালিমার দুটি অংশ। প্রথম অংশ লা-ইলাহ ইল্লাল্লাহ। এখানে আল্লাহর একত্ববাদের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নাই। তিনিই আমাদের সৃষ্টি করেছেন। এবাদতের উপযুক্তও একমাত্র তিনিই। সমগ্র সৃষ্টিজগত তিনিই পরিচালনা করেন। কালিমার প্রথম অংশে আমরা এই ঘোষণা দিয়েছি।

আল্লাহর কুদরত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত আল্লাহর হুকুম ছাড়া আমাদের কোনো কাজে আসবে না। আমরা ‍যদি এই পুরা দুনিয়ার মালিক হয়ে যাই তবু আমাদের কিছুই নেই। কারণ এই পৃথিবীটাই তো আল্লাহর। কোনো মানুষ অপর মানুষ থেকে অমুখাপেক্ষী হতে পারে, কিন্তু কেউ যদি পুরা দুনিয়ারও মালিক হয়ে যায় তবু সে বলতে পারবে না- আল্লাহর প্রতি আমি অমুখাপেক্ষী।

আর কালিমার দ্বিতীয় অংশ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ। এখানে রিসালাতের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাতামুন্নাবিয়্যীন বা সর্বশেষ নবী। তারপরে আর কোনো নবী নাই। কিয়ামত পর্যন্ত যারা আসবে তাদের সবার জন্য তিনি নবী। তার উপর অবতীর্ণ কিতাব সর্বশেষ আসমানী হেদায়েতের কিতাব। তার আনীত শরীয়ত ও সুন্নাতের মধ্যেই হেদায়াত। এই শরীয়ত ও সুন্নাত থেকে কেউ বিমুখ হলে হেদায়াতের আর কোনো উপায় নেই। এ শরীয়ত কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

নতুন করে নবুয়তের দাবিদারকে কাফের উল্লেখ করে এই বিদগ্ধ আলেম বলেন,  নতুন করে কেউ যদি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরে নবুওয়তের দাবি করে সে মিথ্যাবাদী। তার  অমুসলিম হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই। যারা নিজেদের আহমদীয়া মুসলিম জামাত বলে দাবী করে সাথেসাথে গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে মাসীহ বা মাহদী বা নবী বলে তারা কখনো মুসলিম হতে পারে না। তারা নিজেদের আহমদীয়া মুসলিম জামাত বলে অথচ ইসলামের সাথে ওদের কোনো সম্পর্ক নাই। নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করে  তারা মানুষকে ধোঁকা দেয়।

তাদের ধোঁকার উদাহরণ দিতে গিয়ে মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মালেক বলেন, তারা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ  পড়ে ঠিকই কিন্তু ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ দ্বারা তারা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে বুঝায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ মনে করে যে, তারা হয়তো মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু তারা মূলত মুহাম্মাদ দ্বারা গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকেই বুঝিয়ে থাকে। হিন্দুদের পুন:জন্মের বিশ্বাসের মত তারাও বিশ্বাস করে, গোলাম আহমাদ কাদিয়ানি রূপ ধরে রাসূলের আবার পুনর্জন্ম হয়েছে। তারা যদি মুসলিমই হয় তাহলে নিজেদেরকে আহমদীয়া ‘মুসলিম’ জামাত বলার কি প্রয়োজন?

মুসলিম নামের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এই প্রজ্ঞাবান আলেম বলেন,  মুসলিম আরবি শব্দ। এর মূল হরফ হল সীন, লা-ম, মীম। যার অর্থ হল শান্তি, নিরাপত্তা। অতএব মুসলিম ঐ ব্যাক্তিই হবে যার হাত ও যবান থেকে অপরজন নিরাপদ থাকে। শান্তিতে থাকে। যার হাত ও যবান থেকে অন্যরা নিরাপদে থাকে না সে পরিপূর্ণ মুসলিম হতে পারে না। এই মুসলিম নামের মধ্যেই আমাকে বলে দেওয়া হয়েছে, মাখলুকের হক আদায় করো। তোমার হাত ও যবান সংযত রাখো।

মুমিন শব্দের অর্থ নিয়ে আলোচনা করতে ‍গিয়ে তিনি বলেন, এর মূল হরফ হলো আলিফ, মীম ও নূন, যার অর্থ নিরাপত্তা। রাসূল  সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুমিন হলো ঐ ব্যক্তি যার অনিষ্ট থেকে   মানুষ নিরাপদে থাকে। য়ে কারো প্রতি জুলুম করে না, অত্যাচার করে না, যার কারণে মানুষ আতঙ্কে থাকে না সেই হলো পরিপূর্ণ মুমিন। সুতরাং এগুলো থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে।

একটি ভুল ধারণা নিরসন করতে ‍গিয়ে তিনি বলেন, অনেকে মনে করেন যে, হুজুররা মাদরাসায় পড়ে শুধু এলেম শিখে। ঈমান শিখে না। ঈমান তো আমরা শিখি। এজন্য হুজুররা আছেন ‘বান্দার রাস্তা’য়। যখন তারা তাবলিগে যায় তখন তারা আল্লাহর রাস্তায় থাকে।

তিনি বলেন, যারা মাদরাসায় পড়েন তারাও আল্লাহর রাস্তায় আছেন। তারাও ঈমান শিখেন।

ঈমানকে নবায়ন করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাদীসে আছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা ঈমানকে নবায়ন করতে থাকো। সাহাবীরা আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ঈমানকে কীভাবে নবায়ন করব? জবাবে নবীজি বললেন, বেশি বেশি লা-ইলাহ ইল্লাল্লাহ পড়ো।’ সুতরাং আমরাও বেশি বেশি এই কালিমার যিকির করব।

তিনি বলেন,  ঈমান তো হলো শাজারাতুন তায়্যিবা বা একটি উৎকৃষ্ট  বৃক্ষ। গাছ লাগানোর পর যেমন তার যত্ন করতে হয় তেমনি ঈমান নামক গাছটিরও যত্ন করতে হবে। গাছের শাখা-প্রশাখা যেমন ছড়াতে থাকে তেমনি অন্তরে যদি ঈমানের বৃক্ষ থাকে তাহলে আমলের শাখা-প্রশাখা বের হতে থাকে। মুমিনের সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ‍দিয়ে ঈমান প্রকাশ পেতে থাকে।

আর এর জন্য ঈমানের মেহনত করতে হবে। ঈমানের মেহনত অনেক জরুরি। এটা এত সস্তা নয় যে কয়েকটা চিল্লা লাগালাম আর হয়ে গেল। চিল্লা লাগানোটা হলো ঈমানের মেহনতের অনেকগুলো পদ্ধতির একটা পদ্ধতির শুরু মাত্র। তবে এর জন্য আল্লাহর কাছে বশি বেশি দোয়াও করতে হবে।

সবকিছুতে রাসূলের সুন্নতের অনুসরণের উপদেশ ‍দিয়ে তিনি বলেন,  তুমি ব্যবসায়ী তো রাসূলুল্লাহর ব্যবসা দেখ। তিনি কিভাবে ব্যবসা করেছেন। তুমি পিতা- রাসূলকে দেখ, তিনি কেমন পিতা ছিলেন। তুমি মা, তো রাসূলের জীবন দেখ। আদর্শ মা কেমন হবে তিনি বলে গেছেন।  তার স্ত্রীরা দেখিয়েছেন। সাহাবায়ে কেরামের মায়েরা, তাদের স্ত্রীরা যারা রাসূলের কাছে দ্বীন শিখেছেন তারা দেখিয়েছেন আদর্শ মা কেমন হবে। তুমি তেমন মা হও। কোনটা দরকার তোমার, সব কিছু তুমি রাসূলের জীবনে পাবে।

তিনি বলেন, মানবজাতির ইতিহাসে এমন আর কোনো ব্যাক্তি নেই যিনি জীবনের সকল ক্ষেত্রে মানবের জন্য নিজের আচরণ ও উচ্চারণ দ্বারা অনুসরণীয় আদর্শ রেখে গেছেন। জীবনের যে কোনো গন্ডিতে তুমি বাস করো না কেন, তাকেই তুমি আদর্শরূপে তোমার সামনে পাবে। এমন আদর্শ জীবনের অধিকারী যিনি তিনিই তো হবেন সমগ্র জগতের জন্য রহমত। সেই রহমতের নবীর আদর্শ জবন ত্যাগ করে আমরা কিসের সন্ধানে কোথায় ছুটে চলেছি?

নামাজের আলোচনা করতে ‍গিয়ে তিনি বলেন,  আমার নামাজ হচ্ছে কি না, এটা বুঝার সহজ উপায় হলো, আমার ২৪ ঘন্টার জীবন। আমার চলা-ফেরা, উঠা-বসা, লেন-দেন এগুলো যদি ঠিক হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে আমার নামাজ সঠিকভাবে আদায় হচ্ছে। একজন নামাজ পড়ার পরও সুদ, ঘুষ, ‍যিনা, ব্যভিচার ইত্যাদি গুনাহর কাজ ছাড়তে পারল না তাহলে বুঝতে হবে তার নামাজ সঠিকভাবে আদায় হচ্ছে না।

প্রথম কাতারে গিয়ে তাকবির উলার সাথে নামাজ পড়লাম,  কিন্তু ঘরে গিয়েই স্ত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার করলাম। গাড়িতে ড্রাইভারের সাথে খারাপ ব্যবহার করলাম। তাহলে বুঝতে হবে, আমার নামাজ ভালভাবে আদায় হয়নি। আমার  আচার-আচরণ, চলা-ফেরা,  ওঠা-বসা  এগুলো ঠিক করতে হবে। এগুলোর মেহনত এবং নামাজের মেহনত একসাথে করতে হবে। যখন দেখব এগুলো ঠিক হচ্ছে না- বুঝবো, নিশ্চয় আমার নামাজও ঠিকভাবে হচ্ছে না।

মুসল্লির পরিচয় দিতে গিয়ে তিনি বলেন, যে মাপে কম দেয় না, অন্যের প্রতি জুলুম অত্যাচার করে না, স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরণ করে না, সুদ-ঘুষ, যিনা-ব্যাভিচার ইত্যাদি যত ধরণের পাপাচার আছে এর কোনোটাই করে না তাকে বলে মুসল্লি। এরপর তিনি নামাজের ব্যপারে অবতীর্ণ কোরআনের প্রসিদ্ধ আয়াতটি উল্লেখ করেন। যাতে বলা হয়েছে, নামাজ নামাজিকে সমস্ত অশ্লীলতা থেকে বিরত রাখে।

ইলম ও ‍যিকিরের আলোচনা করতে ‍গিয়ে এই প্রজ্ঞাবান আলেমেদ্বীন বলেন,  আমরা যত আমল করবো, ইবাদত বন্দেগি করবো সবগুলোর জন্য ইলমের প্রয়োজন। অতএব এই ইলম আমাদের প্রত্যেকের শিক্ষা করা জরুরী।

তিনি বলেন,  আমরা যারা তাবলিগে গিয়েছি তারা জানি যে, সেখানে বলা হয়, ইলম দুই প্রকার- মাসায়েলের ইলেম, ফাযায়েলের ইলেম। সেখানে এ-ও বলা হয় যে, ফাযায়েলের ইলম শিখবো তালিমের হালকায় আর মাসায়েলের ইলম শিখবো আলেম-ওলামদের কাছ থেকে। মাসায়েলের ইলমের মধ্যে সর্বপ্রথম হলো ঈমান তথা আকিদার মাসআলা। এগুলোও আমাদের আলেমদের কাছ থেকে শিখতে হবে।

কিন্তু বর্তমানে আমাদের অবস্থা হলো, আমরা মাসআলা শিখতেই চাই না। হঠাৎ কোনো একটা মাসআলা যদি সামনে এসেই যায়,  তখন আলেমদের কাছে গেলেও আগে জিজ্ঞেস করত, হুযুর ছাল লাগিয়েছেন কি না। আর এখন জিঙ্গেস করে, হুযুর সাদ সাহেবের অনুসারী কি না, সাদ সাহেবকে মানে কি না। যদি সাদওয়ালা হুযুর হয় তাহলে জিজ্ঞেস করব। অন্যাথায় তার কাছ থেকে মাসআলা শেখা যাবে না।

তিনি বলেন, দ্বীনের মাসআলা সর্বদা আলেমদের কাছ থেকেই শিখতে হবে। ওই আলেম যদি সহীহ তরিকার উপর থাকে, তিনি তাবলিগে সময় লাগিয়েছেন কি না, সাদ সাহেবের অনুসারী কি না এটা দেখার দরকার নাই। বরং হক্কানী আলেম হলেই হবে।

একরামুল মুসলিমীন নিয়ে আলোচনা করতে ‍গিয়ে তিনি বলেন, হাদীসে আছে ‘যে ছোটকে স্নেহ করে না আর বড়কে সম্মান করে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত না। সুতরাং ছোটরা বড়দের সম্মান করবে আর বড়রা ছোটদের স্নেহ করবে। আলেমদের সম্মান করবে। তাদের হক আদায় করবে। এই সবগুলো একরামুল মুসলিমীন-এর অন্তর্ভুক্ত।

তিনি বলেন, আলেমদের হক হলো, তারা যেগুলো বলে সেগুলো মেনে চলা, তাদের বিরোধিতা না করা, তাদের দেখলে সালাম দেওয়া, তাদের সাথে হাসি মুখে কথা বলা ইত্যাদি সবগুলোই তাদের হক।

সহীহ নিয়ত  এ বিষয়ে  তিনি বিস্তারিত কোনো আলোচনা করেন নি। বরং শুধু এতটুকু বলেছেন যে, সহীহ নিয়ত কি তা আপনারা আমার চেয়ে ভালো জানেন।

দাওয়াত ও তাবলিগ এ বিষয়ে আলোচনা করতে ‍গিয়ে তিনি বলেন, এই ছয় নাম্বারটা বাকি পাচঁটাকে নিয়েই পালন করতে হবে। সুতরাং তাবলিগ করতে হলে ইলমে ওহির আলো নিয়েই তাবলিগ করতে হবে। ইলম ছাড়া তাবলিগ করা যাবে না। ইলম ছাড়া যদি কেউ তাবলিগ করে তাহলে তার দ্বারা অনেক মারাত্মক মারাত্মক ভুল হতে পারে। তারপর তিনি উদাহরণ হিসেবে তাবলিগ জামাতের বর্তমান পরিস্থিতির প্রতি ইশারা করেন।

বয়ানের শেষে তিনি উপস্থিত সাথীদের মাঝে তাশকিল করেন। কে কত দিনের জন্য তাবলিগে বের হবে-নাম লেখানোর আহ্বান জানান।

রেকর্ড থেকে প্রস্তুত করেছেন মুহাম্মাদ মামুনুর রশীদ 

পূর্ববর্তি সংবাদপাকিস্তানে ২ ভারতীয় আটক, সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ
পরবর্তি সংবাদআড়াই বছর পর দৃশ্যমান হল পদ্মা সেতুর আড়াই কিলোমিটার