ইসলাম টাইমস ডেস্ক : বগুড়ার সোনাতলায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সফুরা বেওয়া (৬০) হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত বৃদ্ধার ছেলে অ্যাড. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার ২০ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের সোনাকানিয়া গ্রামের মৃত হামেদ আলী প্রামানিকের ছেলে ছালেক উদ্দিন প্রামানিক (৫৫), মৃত মাবেজ মন্ডলের ছেলে আইয়ুব হোসেন (৫২), মৃত আব্দুল জলিলের স্ত্রী পারুল বেওয়া (৫০) ও মো. জিয়াদুর রহমানের স্ত্রী মোছা. আনোয়ারা বেগমকে (৫০) গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীরা ঘরের আসবাবপত্র, টিনের বাড়িঘর ও স্বর্ণাঙ্কারসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
বগুড়ার সোনাতলা থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী জানান, উপজেলা সোনাকানিয়া এলাকায় একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে বৃদ্ধা নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, রবিবার বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের সোনাকানিয়া গ্রামের মৃত ফজলুল হক মন্ডলের ছেলে মো. আব্দুল হালিম ও তার তিন ছেলে হাসিবুর রহমান হাসিব (২৫), আহসান হাবীব (২৪) এদের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একদল নারী ও পুরুষ সংঘবদ্ধ হয়ে হাতে রামদা, ছোরা, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে অতর্কিতভাবে একই গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে অ্যাড. মো. শহিদুল ইসলামের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট শুরু করে।
এ সময় শহিদুলের মাতা সফুরা বেওয়া বাধা দিলে হামলাকারীরা তাকে বেদম মারপিট করে। এ সময় শহিদুল ও তার আত্মীয়-স্বজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদের উপর আক্রমণ ও মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সফুরা বেওয়া গত সোমবার সকালে সোনাতলা হাসপাতালে মারা যায়।