ইসলাম টাইমস ডেস্ক: রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একটি ভবনের ১১১৯ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগের টর্চারসেলের খোঁজ পাওয়া গেছে। সেই টর্চারসেল থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। টর্চারসেলের রুমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধরে এনে রড ও লাঠি দিয়ে নির্যাতন করা হতো বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২নভেম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত এবং পুকুরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তে গিয়ে এই টর্চার সেলের সন্ধান পান। তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে-অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সিসিটিভির ফুটেজ দেখেন।
টর্চারের বিষয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বললে বা তাদের কোনো কাজের প্রতিবাদ করলেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নেমে আসত নির্যাতন। এমনকি, শিক্ষকের সামনে ক্লাস থেকে ছাত্রদের ধরে এখানে এনে নির্যাতন করা হতো। ইনস্টিটিউটের পুকুরের পশ্চিমপাশের ভবনের ১১১৯ নম্বর কক্ষ টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সেখান থেকে লোহার রড, পাইপ ও লাঠি উদ্ধার হয়েছে। পরে সেগুলো পুলিশ হেফাজতে দেয়া হয়।
তদন্ত কমিটিকে কয়েক জন শিক্ষক ও ছাত্র জানান, টর্চার সেলটি ছাত্রলীগের। ওই কক্ষের সামনে ছাত্রলীগের টেন্ট। কেউ নেতাদের কথা না শুনলে সেখানে নিয়ে টর্চার করা হতো। এ সময় ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষক এবং অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলেন।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক এস এম ফেরদৌস আলমকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরিচালক ড. নুরুল ইসলাম এবং রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওমর ফারুককে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।