ইসলামের সৌন্দর্য; আইন তৈরিকারীও পেলেন ব্যভিচারের প্রকাশ্য শাস্তি

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের কারণে মুখলিস বিন মুহাম্মাদ নামের এক মুফতীকে শরীয়াহ আইনে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করে শাস্তি দেয়া হয়েছে। ঐ মুফতী আচেহ প্রদেশের শরীয়াহ আইনের খসড়া তৈরিকারি কমিটি আচেহ ওলামা কাউন্সিল (এমপিইউ) -এর সদস্য।

যে আইনের খসড়া তৈরিতে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন, সে আইনেই তাঁকে শাস্তি পেতে হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটাই ইসলামী শরীয়াহ আইনের সৌন্দর্য। অপরাধী যে-ই হোক, তাঁকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়।

জানা যায়, মুখলিস বিন মুহাম্মাদকে বৃহস্পতিবার ২৮ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে। আর তার সঙ্গে বর্হিভূত সম্পর্ক করা নারীকে ২৩টি বেত্রাঘাত করা হয়েছে।

বেত্রাঘাতের শাস্তি পাওয়া ৪৬ বছরের মুখলিস বিন মুহাম্মাদ সেই এমপিইউ-এর একজন ইসলামি মুফতী। তিনি আচেহ প্রদেশের বেসার জেলায় থাকেন। সেপ্টেম্বর মাসে এক বিবাহিত নারীসহ তাকে একটি পর্যটন উপকূলের পার্ক করা একটি গাড়ি থেকে আটক করে কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার তাদের বেত্রাঘাত করা হয়। বেসারের ডেপুটি মেয়র হুসাইনি ওয়াহাব বলেন, ‘এটা আল্লাহর আইন। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাকে বেত্রাঘাত করতে হবে, সে ওলামা কাউন্সিলের সদস্য হলেও’।

তিনি জানান মুখলিসকে এমপিইউ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে ২০০৫ সাল থেকে শরীয়াহ আইন চালু রয়েছে। বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের পাশাপাশি সমকামিতা ও জুয়ার শাস্তিও সেখানে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত। সরকারকে এই আইন কার্যকর করতে পরামর্শ এবং আইনি খসড়া করতে সহায়তা দেয় এমপিইউ।

আচেহ প্রদেশে ২০১৪ সালে সমকামিতা বিরোধী আইন পাস হয়। আর পরের বছর থেকেই সেখানে ওই আইন কার্যকর শুরু হয়। শরীয়াহ আইন অনুযায়ী বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক, জুয়া, মদপান, অ্যালকোহল উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ। ২০১৭ সালে সমকামিতার দায়ে সেখানকার দুই পুরুষের প্রত্যেককে ৮৩ বার বেত্রাঘাত করা হয়।

উন্মুক্ত স্থানে বানানো মঞ্চের ওপর এই শাস্তি কার্যকর করা হয়। তবে শিশুদের সেখান থেকে দূরে রাখা হয়। আচেহ প্রদেশে বসবাসরত মুসলিম-অমুসলিম সবার জন্যই শরীয়াহ আইন প্রযোজ্য।

পূর্ববর্তি সংবাদএবার স্কুলে অভিভাবকদের জন্যও স্কার্ফ নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে ফ্রান্স
পরবর্তি সংবাদনবীকে যেই অপমান করুক না কেন সে মানবতার দুশমন: মাওলানা মামুনুল হক