ইসলাম টাইমস ডেস্ক: আমেরিকার নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠিত কওমী মাদরাসা ‘দারুল উলুম নিউইয়র্ক’- এর মুহতামিম মাওলানা ইয়ামিনের আগমনে মিরপুর বায়তুল জান্নাত মোল্লা মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বিশেষ মাহফিল। আজ বুধবার দিবাগত রাতে মসজিদের সাপ্তাহিক তাফসির মাহফিলের পর এই বিশেষ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
‘দারুল উলুম নিউইয়র্ক’- এর মুহতামিম মাওলানা ইয়ামিন বলেন, কুরআন এমন সঙ্গী যে সঙ্গী আমাদেরকে জান্নাতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত বিদায় নিবে না। পক্ষান্তরে যদি কুরআনের ব্যাপারে অবহেলা করা হয়, তাহলে কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর আদালতে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নালিশ করবেন, হে আল্লাহ, আমার সম্প্রদায় কুরআনকে পরিত্যাগ করেছে।
এর আগে বাইতুল জান্নাত জামে মসজিদে বয়স্কদের শিক্ষাকার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে তার সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় বয়স্ক মাদ্রাসা থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর পেশা ও বয়সের মানুষ পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করে শোনান।
জানা যায়, এই মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরই কুরআন শিক্ষার জন্যে বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রয়েছে। প্রতিদিন এলাকার আশপাশ থেকে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রায় দুই শতাধিক মানুষ কুরআন শিখতে আসেন। ইতিমধ্যে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত লোকদের মধ্য থেকে এমন একটি ব্যাচ তৈরি হয়েছে যারা পাঁচ পারা কুরআন শরীফ শেষ করে এবার আরবি শেখা শুরু করেছেন, যাতে তারা কোরআন শরীফ অর্থসহ বুঝতে পারেন।
এ সকল শিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে মসজিদের খতিব ও মারকাযুদ দাওয়াহর শিক্ষক মাওলানা ইয়াহইয়া বলেন, হাফেজ্জী হুজুর বুয়েটের জামে মসজিদে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত লোকদেরকে কুরআন শিখানোর জন্য প্রফেসর হামিদুর রহমান সাহেবের কপালে চুমু খেয়েছিলেন। আমি আশা করি, সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত লোকদেরকে কুরআন শিখার পিছনে তোমরা যারা পরিশ্রম করছ তোমাদের কপালে স্বয়ং আল্লাহর রাসূল চুমু খাবেন।
মাওলানা ইয়াহইয়া আরো বলেন, ‘বর্তমানে অধিকার আদায়ের জন্যে বিভিন্ন প্রচারণা চালানো হয়। আমাদের সমাজে ‘মানুষের জানার অধিকার’, ‘মানুষের সাক্ষরতার অধিকার’ ইত্যাদি নানা স্লোগান চালু রয়েছে। এর সাথে যুক্ত করে আমি বলি, কুরআন শরীফ সহীহ শুদ্ধভাবে শিক্ষা করতে পারা এটাও প্রত্যেক মুসলমানের অধিকার। সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানকে তার এই অধিকার আদায় করে নিতে হবে।